এবারও চাষবাস শুরু হয়েছিল। কিন্তু কংসাবতী নদীর জল ধেয়ে এসে গ্রাস করছে চাষের জমি, সাধারণ মানুষ জমিতে ফসল উৎপন্ন করলে তবেই অন্ন জোটে কিন্তু সেই অন্ন জোগানের চাষের জমি যদি কংসাবতী গ্রাস করে তবে মানুষের জীবন জীবিকা চলবে কীভাবে! পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘি, পঞ্চমদুর্গা, রাজশহর এবং মাইশোরা সহ বিভিন্ন এলাকা ফুল ও সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। কংসাবতীর চরে চাষবাস হয়। কিন্তু এবার আষাঢ়ের শুরুতেই কংসাবতীর চরে চাষবাসের জমি জলের তলায়। ডুবেছে সবজি চাষের ক্ষেত ও ফুলের ক্ষেত। কারণ বিভিন্ন ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় জলস্তর বেড়েছে কংসাবতীতে। আর তাতেই কূল ছাপিয়ে জল চাষের জমিতে।
advertisement
পাঁশকুড়ার মুকুল পন্ডা নামে কৃষক জানিয়েছেন, ‘শেষ বছর বন্যা সবকিছু কেড়ে নিয়েছিল। চলতি বছর আষাঢ়ের শুরুতে আবারও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে চাষের জমি। রুটি রোজগার চলবে কীভাবে তা নিয়ে চিন্তায়। কারণ চাষবাস করেই সারা বছর অন্ন সংস্থান করতে হয়। কিন্তু বর্ষায় বারবার যদি জলমগ্ন হয় চাষের জমি তাহলে সমস্যা বাড়ে। এবার শুরু থেকেই চাষের জমি জলমগ্ন, ফলে চিন্তা বাড়ছে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকা বরাবর বর্ষার সময় চাষের জমি কংসাবতীর তলায় ডুবে যায়, ফলে ফুল কিংবা ফসল নষ্ট হয় বার বার। একদিকে যেমন চাষের ক্ষতিপূরণ হিসেবে চাষিরা পায় লবডঙ্কা, অন্যদিকে যেটুকু রোজগার হত তাও জলের তলায়। বিভিন্ন কাঁচা সব্জি কিংবা ফুল চাষ ব্যাপক হারে নষ্ট, কংসাবতী নদীর নোনা জল প্লাবিত হয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় চাষ নষ্ট হয়েছে। রোজগারে যেন ভাটা পড়েছে। মন খারাপ অভিমান চাষিদের। তবে প্রশাসন কি পাশে থাকবেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের পাশে থেকে যায় একরাশ প্রশ্ন!
সৈকত শী