শনিবার দুপুর প্রায় ১২টা নাগাদ ট্রেন থেকে নামার পর আত্মীয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে অটোতে যাত্রা করার সময়ই ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান জাহাঙ্গীর সাহার স্ত্রী ফরিদা বিবি (৩০) এবং বড় ছেলে জাহানসিম সাহা (১২)। বাকি তিনজন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীর সাহা নিজে (৩৬), ছোট ছেলে ফারজান সাহা (৭) এবং ভাগ্নি সাহারিনা খাতুন (১৫)।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দিঘার ‘প্রাণকেন্দ্র’ এই মার্কেটের করুণ হাল, জলজট আর অন্ধকারে ভুগছে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ
হঠাৎ এই মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা চালতি গ্রাম। জাহাঙ্গীরের পরিবারে দীর্ঘদিন ধরেই দারিদ্র্যের ছাপ। তার মা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, আর বাবা মানসিক ভারসাম্যহীন। সংসারের একমাত্র রোজগার ছিল জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী ফরিদা। তাঁদের অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিবার। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অভাবের তাড়নায় জাহাঙ্গীর পরিবার নিয়ে উত্তরপ্রদেশে কাজ করতে গিয়েছিলেন। অথচ যাত্রাতেই মৃত্যু কেড়ে নিল স্ত্রীর ও সন্তানের জীবন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কাঁথি থানার পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে দুর্ঘটনার খবর পৌঁছাতেই চারদিক থেকে গ্রামে ভিড় জমে যায়। আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে প্রতিবেশী, সবার চোখে অশ্রু আর হাহাকার। মৃতদের পরিবারের এক আত্মীয় শেখ হাকিম বলেন, “অভাবের সংসারে ভরসা ছিল জাহাঙ্গীর আর তার স্ত্রী। কাজের খোঁজে ভিনরাজ্যে গিয়েছিল। দুর্ঘটনায় স্ত্রী-সন্তানের মৃত্যুতে পরিবার কার্যত ভেঙে গেল। আমরা সরকারের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি।”