বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি ছেড়ে মহিষাদলের ছোলাবাড়ির কাছে গড়ে তুলেছে একটি চায়ের দোকান। কিন্তু সেটি আদৌ চায়ের দোকান নাকি লাইব্রেরি সেই ভাবনা এখন অনেকেরই। চায়ের দোকানের ভেতরে থরে থরে সাজানো হরেক রকমের বই। সাহিত্য থেকে ধর্ম, ভ্রমণ থেকে রান্নাবান্না সমস্ত রকমের বই নিয়ে সুদীপের চায়ের দোকান যেন পরিণত হয়েছে আস্ত একটি লাইব্রেরিতে। বর্তমানে সকাল থেকে সন্ধ্যে সুদীপের এই চায়ের দোকান যেন হয়ে উঠেছে আট থেকে আশির অবসরের ঠিকানা। হাতে একটি বই নিয়ে জ্ঞান সঞ্চয়ের পাশাপাশি চলে চায় চুমুক।
advertisement
আরও পড়ুন: গোলাপ ফুল থেকেই জীবনে আসছে সাফল্য ! হাতে আসবে মোটা টাকা
দোকানের ভেতর শরৎচন্দ্র থেকে বঙ্কিমচন্দ্র, রাস্কিন বন্ড থেকে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার সব বই থরে থরে সাজানো। দোকানের ভেতর ধূমপান একেবারেই নিষিদ্ধ। এমনকি ফোন ঘাঁটাও চলবে না। দিনের একটু সময় চায়ে চুমুক দিতে দিতে বইয়ের সঙ্গে কাটুক এমনটাই চান সুদীপ। এ বিষয়ে সুদীপ জানায়, “ছোট থেকেই দেখে আসছি মা খুব বই পড়তে ভালোবাসেন। তবে বর্তমান প্রজন্ম বই থেকে যেন দূরে সরে যাচ্ছে। আমি যখন চাকরি ছাড়ি, তখন চা দোকান করার সিদ্ধান্ত নেই। সেখানেই নতুন কিছু করার ভাবনা মাথায় আসে। তাই চায়ের দোকানে আড্ডার ছলে যাতে নতুন প্রজন্ম বইমুখী হয়ে উঠতে পারে সেই জন্য এই ধরনের উদ্যোগ।”
আরও পড়ুন: শীতে দিঘা যাওয়ার আগে পর্যটকদের জন্য বড় খবর! না জানলেই ঠকতে হবে! জানুন বিস্তারিত
বর্তমানে মহিষাদলের এই চায়ের দোকান যেন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। প্রথমে হাতে গোনা দেড়- দুশো বই নিয়ে শুরু হয় পথ চলা। বর্তমানে বইয়ের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁইছুই। সুদীপের এই ধরনের উদ্যোগে খুশি হয়ে বহুদূরান্ত থেকে মানুষজন বই নিয়ে আসেন সুদীপের এই চা দোকানে। সুদীপের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তারা। বর্তমানে সুদীপের এই চায়ের দোকান হয়ে উঠেছে স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের পাশাপাশি কবি সাহিত্যিকদের আড্ডার ঠিকানাও। বহু বই প্রকাশ অনুষ্ঠানও হয়েছে সুদীপের এই চায়ের দোকান থেকে।
সৈকত শী