এই বছর তাঁরা এলাকার অসহায় ও অবহেলিত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল। মেলার মঞ্চে এনে তাঁদের আলোকিত করল। শুধু সম্মান জানিয়েই থেমে থাকেনি মেলা কমিটি, বরং সারা বছরের জন্য তাঁদের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল। পটাশপুরের দু’জন অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দায়িত্ব গ্রহণ করে মানবিকতার এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করল এই মেলা কমিটি। মেলা যে শুধু আনন্দের নয়, মানবিকতারও প্রতীক, সমাজে সেই বার্তাই পৌঁছে গেল।
advertisement
এখনকার সমাজে প্রায়শয়ই দেখা যায়, বয়স্ক মা-বাবারা নিজেদের সংসারেই অবহেলার শিকার হন। সন্তানের ব্যস্ত জীবনে তাঁদের গুরুত্ব কমে যায়। অনেক সময় তাঁরা একাকীত্বে ভোগেন। এই কঠিন বাস্তবতা থেকেই এই নতুন ভাবনার জন্ম বলে জানিয়েছে মেলা কমিটি। তাঁদের উদ্যোগ শুধুমাত্র দু’জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে ঘিরে নয়, এই কর্মসূচি সারা বছর ধরে চলবে বলেই জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক অবহেলিত বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে এই উদ্যোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতি বছর মেলার মঞ্চে তাঁদের সম্মান জানানো হবে, তাঁদের জীবনের গল্প তুলে ধরা হবে, যাতে সমাজ নতুন করে ভাবতে শেখে।
মেলা কমিটির সম্পাদক পীযূষকান্তি পণ্ডা বলেন, “আমরা নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চাই। নতুন পথ দেখাতে চাই। মেলা শুধু আনন্দের উৎসব নয়, মানবিকতার প্রতীক হয়ে উঠুক। আজ আমরা এক বৃদ্ধ দম্পতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। তবে এটুকুতেই থেমে থাকব না। এটা কেবল শুরু। আগামী দিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়ানো হবে।” এটি একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা। যাঁরা সারাজীবন সমাজ গড়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোই লক্ষ্য। মেলা কমিটির উদ্দেশ্য, এলাকার অবহেলিত ও অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের মানবিকতার এই ছাতার তলায় এনে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ করা। সংসার থেকে যে বিচ্ছিন্নতা বা অভাববোধ তাঁরা অনুভব করেছিলেন, তা যেন আর কখনও তাঁদের স্পর্শ না করে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একই সঙ্গে সমাজের প্রতিও দেওয়া হয়েছে এক স্পষ্ট বার্তা। বৃদ্ধ মা-বাবার দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং সম্মান, ভালবাসা ও যত্ন দিয়েই তাঁদের আগলে রাখা উচিত। মেলা কমিটির এই মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বুদ্ধিজীবী মহল। তাঁদের মতে, এই ভাবনা সমাজে নতুন আলো দেখাবে।





