ব্যবসায়ীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ে সোহিনীর চিকিৎসার জন্য কটকের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন কৌশিকবাবু। গাড়িতে ছিলেন মোট পাঁচ জন। কৌশিক দত্ত, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও পারিবারিক বন্ধু প্রিন্স এবং চালক।
advertisement
মঙ্গলবার রাতে তমলুক থেকে কটকের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তাঁরা। জানা যায় বুধবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁদের গাড়ি। কটকের কাছাকাছি একটি ব্রিজে ওঠার আগে স্পিড ব্রেকারে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর উলটে পড়ে গাড়িটি। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি কৌশিক দত্তের নিজস্ব গাড়ি। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তমলুক শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নিতাই পাত্র ওরফে ধনঞ্জয়। দুর্ঘটনায় মারা যায় গাড়ি চালক নিতাই পাত্র, বয়স ৩০। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন কৌশিক দত্ত, সোহিনী দত্ত, এবং পারিবারিক বন্ধু প্রিন্স।
আরও পড়ুনঃ রাতে বাড়ির বাইরে শৌচালয়ে গিয়েছিলেন! তারপর যা হল মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার সঙ্গে… আঁতকে উঠল সকলে
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রিন্সের কোমরের হাড় ভেঙেছে। দুর্ঘটনা পর ঘটনাস্থলে আছে ওড়িশার স্থানীয় থানার পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে কটক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তমলুকের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বৈদ্যনাথ সিনহা জানিয়েছেন, ‘নিতাই পাত্র দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চালাচ্ছেন। তমলুকের ব্যবসায়ী পরিবারের লোকজনদের নিয়ে কটক যাচ্ছিলেন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে। কটক থেকে কিছুটা দূরে, ব্রিজে ওঠার আগেই স্পিড ব্রেকারে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উলটে পড়ে গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান নিতাই ওরফে ধনঞ্জয়।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মৃত গাড়ি চালকের বাড়িতে রয়েছে ছোট ছোট দুই ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী ও মা। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে তমলুকে।