আগে মেশিনের শব্দ ও শ্রমিকদের কলরবে ভরে থাকত। কিন্তু এখন নীরবতা বিরাজ করে কারখানা চত্বরে। রোদ, জলে নষ্ট হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রাংশ। কাজ হারিয়ে চোখে জল শ্রমিকদের। হঠাৎ কাজ বন্ধ হওয়ায় পড়েছেন আতান্তরে। কীভাবে বাড়ির সদস্যদের খাওয়া পরার জোগাড় করে দেবেন সেই নিয়ে চিন্তায়। এপিএল-এ রয়েছেন ৩৫০ জন স্থায়ী শ্রমিক এবং ৩৫০ জন অস্থায়ী শ্রমিক। শ্রমিকদের পরিবারের অনেকেই স্কুল পড়ুয়া ছিলেন। রোজগার বন্ধ হওয়ায় বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানও বন্ধ! মালিক পক্ষ বারবার আশ্বাস দেয় কারখানা চালু করার। কিন্তু চালু হয়নি কারখানা।
advertisement
আরও পড়ুন: মালদহে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু! অভিযোগের তীর বন্ধুর দিকে, পরিবারের ভয়ঙ্কর দাবি
কারখানার জন্মলগ্ন থেকে কাজে লেগেছিলেন রবি চক্রবর্তী। বর্তমানে কাজ হারিয়ে বেকার। তিনি বলেন, ‘এই কারখানায় প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ জন কর্মী ছিল। কারখানা চালু থাকায় তাদের সমস্যায় পড়তে হয়নি। কিন্তু প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারখানার গেটে ঝুলছে তালা। বন্ধ হয়েছে বেতন। ফলে কাজ হারিয়ে শ্রমিকেরা নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন গুজরান করছে। প্রতিটি শ্রমিক পরিবারে অভাবের মধ্যে দিন কাটছে। মালিকপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও চালু হয়নি কারখানা। কারখানা কবে চালু হবে তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। তাই কারখানা চালুর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শ্রমিকদের কাতর আবেদন।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় চুরির উপদ্রব শুরু হয়েছে। চুরি হচ্ছে লক্ষাধিক টাকার যন্ত্রাংশ। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদেরই পাহারার ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন ৪০০০ টাকার বিনিময়ে। তাতেও রাজি হয়েছিলেন শ্রমিকরা। কিন্তু সে টাকাও এখন আসে না। দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভে শ্রমিকরা বিক্ষোভও দেখান কারখানার গেটে। এখন তাদের দাবি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন, কারখানা চালু করার ব্যবস্থা নিয়ে এই শ্রমিক পরিগুলোকে বাঁচান তিনি।





