অভিযোগ, বহিরাগত দুষ্কৃতীরাই ধানের জমিতে আগুন লাগিয়েছে। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন সারা জমিতে ছড়িয়ে পড়ে। চোখের নিমেষে পুড়ে ছাই হয়ে যায় সব। লগেন মুর্মুর দাবি, তাঁর মাঠে ছিল প্রায় ৮ থেকে ১০ কুইন্টাল ধান ছিল। এই ধানই ছিল তাঁর বছরের একমাত্র ফসল। সব মুহূর্তেই নষ্ট হয়ে গেল। এক স্থানীয় বাসিন্দা প্রথমে আগুন দেখতে পান। তার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকাবাসীরা। তারা প্রথমে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: জঙলি হাতির হানায় প্রাণ গেল গো-পালকের, ভয়াবহ দৃশ্য দেখে প্রাণপণে ছুটলেন মহিলারা
আগুনের লেলিহান শিখায় ধ্বংস হয়ে যায় ধানের স্তূপ। অভিযোগ, এই জায়গাটি বহুদিন ধরেই দুষ্কৃতীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই সেখানে দুস্কৃতীরা জড়ো হয়। তারা বসে নেশা করে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বহিরাগত এই দুষ্কৃতিরা আগুন লাগিয়েছে। ওই যুবকেরা নেশার ঘোরে প্রায়ই অশান্তি সৃষ্টি করে। মাঝে মধ্যেই ঝামেলা পাকায় তারা। রাতে ওই এলাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এক স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ হেমব্রম বলেন, এই মাঠে প্রতিদিনই কয়েকজন নেশাখোর জড়ো হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সন্ধ্যা হলেই গোলমাল করে। আমরা বহুবার সতর্ক করেছি, কিন্তু তারা শোনেনি। এই সমস্ত বহিরাগত দুষ্কৃতীরা ধানের জমিতে আগুন লাগিয়েছে। আমরা চাই পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের ধরুক। ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন এলাকাবাসীরা। লগেন মুর্মু জানান, এই ধান বিক্রি করেই তিনি সারা বছর সংসার চালান। এখন সারা বছর কীভাবে চলবে? তা ভেবে তিনি দিশেহারা। তাদের দাবি পুলিশ অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করুক। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য কমানোর জন্য এলাকায় রাতের টহল বাড়ানোরও দাবি উঠেছে।





