পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি বইমেলা বইপ্রেমীদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। এ বছর কাঁথি বইমেলা পদার্পণ করল ২৪তম বর্ষে। মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট উপন্যাসিক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বোধনের পর থেকেই ভিড় বাড়ছে মেলায়। মেলা বসেছে কাঁথি রাও রিক্রিয়েশন ক্লাব প্রাঙ্গণে। রাজ্যের নামিদামি একাধিক প্রকাশনী সংস্থা অংশ নিয়েছে এই মেলায়। গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, জীবনী, বিজ্ঞান, ইতিহাস, শিশু সাহিত্য থেকে শুরু করে রান্না, সব ধরনের বইয়ে সাজানো প্রতিটি স্টল। পাঠকের মন কাড়তে প্রকাশনীগুলির তরফে থাকছে আকর্ষণীয় ছাড়ও। কোথাও ২৫ শতাংশ তো কোথাও ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
advertisement
স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ পাঠক, সকলের উপস্থিতিতেই মুখর কাঁথি বইমেলা। পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকেই আসছেন বই কিনতে। কেউ নিজের জন্য, কেউ আবার উপহার দেওয়ার জন্য বই বেছে নিচ্ছেন। শিশুদের ভিড়ও নজর কাড়ছে। নতুন ক্লাসের রঙিন বই হাতে ছোটদের উচ্ছ্বাসও ছোখে পড়ার মত। মেলার আয়োজন করেছে কাঁথি বইমেলা সমিতি। বইমেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এ বছর বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কাঁথি বইমেলার সম্পাদক সোমনাথ দাস জানান, মেলা চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোট ১১ দিন ধরে চলবে এই বইমেলা। প্রতিদিনই থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নাচ, গান, আবৃত্তি, কুইজ ও বিভিন্ন পরিবেশনা থাকছে নিয়মিত। প্রতিদিন আলাদা আলাদা থিমে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যাতে সব বয়সের মানুষ নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী অংশ নিতে পারেন। বইয়ের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মেলাকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছে। সব মিলিয়ে কাঁথি বইমেলা এখন শুধুই বই কেনাবেচার জায়গা নয়। এটি পরিণত হয়েছে এক প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক মিলনমেলায়।





