এবার নাবালিকা বিবাহ রুখতে মন্দিরে মন্দিরে হানা। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পরিবার ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের পাত্রস্থ করতে পারলেই খুশি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর, চন্ডিপুর ও ময়না-সহ বিভিন্ন ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই চিত্র ঘরে ঘরে। এর পাশাপাশি জেলায় প্রেমঘটিত কারণে বহু নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে।
advertisement
মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে পড়তেই বহু মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করছে। এছাড়াও নানা কারণে জেলায় বাল্যবিবাহ বাড়ছে যা জেলাকে বাল্যবিবাহে দেশের প্রথম স্থানে নিয়ে এসেছে। বাল্যবিবাহ রোধে ময়না ব্লকের বিডিও জগন্নাথ বিশ্বাসের সারপ্রাইজ ভিজিট মন্দিরে মন্দিরে।
বাংলা ক্যালেন্ডারের অগ্রহায়ণ মাস বাঙালিদের বিবাহের একটা শুভ দিন। আর এই শুভদিনে বাঙালি ছেলে মেয়েরা কেউবা অনুষ্ঠান করে, কেউবা বিভিন্ন মন্দিরে বিয়ে সম্পন্ন করে। ময়না ব্লকের দক্ষিণ আনুখা গ্রামে অবস্থিত নতুন পুকুরের চণ্ডীমাতার মন্দির। ময়না ব্লকের নবাগত বিডিও জগন্নাথ বিশ্বাসের কাছে এই খবরটা ছিল। তিনি তাই সোমবার আচমকায় দক্ষিণ আনুখার নতুন পুকুর চণ্ডীমাতার মন্দিরে হাজির হয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ অবৈধভাবে রাজ্যের নদী থেকে বালি চুরি করে বিহারে পাচারের ছক! মাঝপথে পুলিশ যা খেল দেখাল, গ্রেফতার ১
বাল্যবিবাহ হচ্ছে কিনা, তারই পরিদর্শন হিসেবে তিনি এসেছিলেন। এদিন মন্দিরে যেসব ছেলে মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে তাদের সঙ্গে বিডিও নিজে কথা বলেন। প্রয়োজনে তাদের জন্মের প্রমাণপত্রও দেখেন।
সেইসঙ্গে মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। মন্দির কর্তৃপক্ষের থেকে জানা যায় এ ধরনের কোনও অন্যায়কে এই মন্দিরে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। ময়না ব্লকের বিডিও জগন্নাথ বিশ্বাস জানান, ‘ময়নাতে বাল্যবিবাহের সংখ্যা তুলনামূলক অনেক বেশি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাই বাল্যবিবাহ যাতে না হয় সেই কারণে তিনি এই মন্দিরে সারপ্রাইজ ভিজিটে এলেন। তিনি আরও জানান, যারা আজ বিয়ে করতে এসেছে ওদের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক বলে জানা গিয়েছে। মেয়েদের ১৮ বছরের কম এবং ছেলেদের ২১ বছরের কম বয়সে বিয়ে হলে, প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।





