বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় ১০০ মিটারের বেশি কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা সহ রূপনারায়ণ নদের বাঁধ ধস নেমে নদীগর্ভে চলে যায়। নদী ভাঙনকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দার থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে জোয়ারের সময় নদীবাঁধ কিছুটা বসে যায়। তারপরে নদীতে ভাটা পড়ায় আর কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু হলেও ফের রাতের জোয়ারে পর ভাটার সময় ওই ধসে যাওয়া নদী বাঁধের প্রায় ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙে নদীর গর্ভে চলে যায়। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রূপনারায়ণ তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় গ্রামবাসীরাই ভেঙে যাওয়া নদী বাঁধ মেরামতের জন্য এগিয়ে আসে। রাতভর নদী বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করে এলাকাবাসী। রূপনারায়ণ নদের বাঁধ ভেঙে নদের জলে তালিয়ে যাওয়ায় চাঞ্চল্য পড়ে। কোনও দুর্যোগের আশঙ্কা না থাকলেও হঠাৎই জোয়ারে নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘাটালে জলযন্ত্রণার মাঝেই কর্তব্যে অবিচল আশাকর্মীরা! খামতি নেই পরিষেবা প্রদানে, তবুও আক্ষেপ এক জায়গায়
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাড় অমৃতবেড়িয়া গ্রামে রূপনারায়ণ নদের বাঁধের এই ভয়াবহ ভাঙনে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। আতঙ্কে রাত জাগেন গ্রামবাসীরা। বৃষ্টি না হলেও এই নদী বাঁধ ভাঙনে প্লাবনের আশঙ্কায় তড়িঘড়ি নদী বাঁধ মেরামতির কাজে হাত লাগায় স্থানীয় বাসিন্দারাই। রূপনারায়ণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পরেই খবর দেওয়া হয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের। ঘটনাস্থলে আসেন স্থানীয় বিডিও সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। তারপরই দ্রুততার সঙ্গে প্রশাসন, সেচ দফতর ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় নদী বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য প্রবীর প্রামানিক।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত বাড় অমৃতবেড়িয়া গ্রামের এই এলাকায় রূপনারায়ণ নদের বাঁধ বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের দাবি, এই জায়গায় প্রতিবছর রূপনারায়ণের বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু কখনওই পাকাপোক্তভাবে মেরামত করা হয় না। ফলে ঘর-সংসার নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয় তাদের। রূপনারায়ণ নদের তীরবর্তী এলাকার প্রায় ১০-১২টি গ্রামের মানুষ এই বাঁধ ধসে যাওয়ায় রীতিমত আতঙ্কে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে রূপনারায়ণ নদের বাঁধ মেরামতির কাজ চললেও, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি স্থায়ীভাবে বাঁধ মেরামত হোক।