শৈশব থেকেই ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা ছিল সঙ্গীতার। বাড়ির সামনের ক্লাব মাঠেই শুরু হয়েছিল তার খেলার যাত্রা। ছোট্ট সেই মাঠ থেকে আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে সে। সঙ্গীতার বাবা কয়েক বছর আগেই প্রয়াত হয়েছেন।
advertisement
মা ফুলঝুরি বাসফোর কাজ করেন কল্যাণী গান্ধী হাসপাতালে সাফাই কর্মী হিসাবে। মেয়ের কৃতিত্বে আপ্লুত ফুলঝুরি দেবী বলেন, “ছোটবেলায় ওর খেলাধুলায় ঝোঁক ছিল, কিন্তু মেয়েমানুষ হয়ে ফুটবল খেলবে—এই চিন্তা হত। পরে প্রতিবেশীরাই সাহস দিয়েছিল। আজ গর্বে বুক ভরে যায়।”
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের পর এই প্রথমবার এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ভারতের মহিলা দল। ২০২২ সালে আয়োজক হিসেবে খেললেও এবার নিজেদের যোগ্যতায় স্থান করে নিয়েছে ভারত। এর আগে ১৯৮০ ও ১৯৮৩ সালে রানার্স এবং ১৯৮১ সালে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিল ভারতীয় দল। সঙ্গীতার এই সাফল্যে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে দেশের মহিলা ফুটবল।
মৈনাক দেবনাথ