মহাসমারোহে পালিত হল তাঁর ১০১’তম জন্মদিন। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এদিন তাঁর বাসভবনে নাম সংকীর্তনের আয়োজন করেন পরিবারের সদস্যরা। মানগোবিন্দ বাবুর বর্তমান পরিবার আকাশছোঁয়া। বর্তমানে তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি। কেউ কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন, কেউ বা থাকেন বাড়িতেই। কিন্তু প্রিয় অভিভাবকের ১০১ বছরের জন্মদিনে হাজির ছিলেন প্রত্যেকেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুয়ারে রেশনে দুর্নীতি! মিলছে না চাল-সহ অন্যান্য সামগ্রী, খড়িবাড়িতে ডিলারকে ঘিরে বিক্ষোভ
চার পুরুষ নিয়ে মানগোবিন্দ দুয়ারীর ১০১’তম জন্মদিন উদযাপন
চার প্রজন্মের উপস্থিতিতে এদিন দুবদা গ্রামের দুয়ারী বাড়িতে ছিল উৎসবের মেজাজ। কেক কেটে, নতুন পোশাকে দাদুকে সাজিয়ে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন নাতি-পুতিরা। মানগোবিন্দবাবু আজও বাজারে বিক্রি করেন নারকেল। পরিবারে যথেষ্ট আর্থিক সচ্ছলতা রয়েছে,অভাব নেই কোনও কিছুরই। তবুও ১০১ বছর বয়সে এসেও মানগোবিন্দ বাবু আজও বিস্ময়। প্রতিদিন নিয়ম করে তিনি বাজারে যান এবং নারকেল বিক্রি করেন। পরিবারের দাবি, এটা তাঁর দীর্ঘদিনের অভ্যাস এবং একপ্রকার শখ। বসে থাকা তাঁর স্বভাবে নেই। এই বয়সেও তাঁর এই কর্মস্পৃহা দেখে অবাক হন প্রতিবেশীরাও।
জন্মদিন উপলক্ষে কেবল আনন্দ-আড্ডা নয়, বাড়িতে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। দিনভর চলে নাম সংকীর্তন। পরিবারের এক সদস্য রাজকুমার দুয়ারী জানান,”দাদু আমাদের বটগাছের মতো আগলে রেখেছেন। তাঁর এই দীর্ঘায়ু এবং প্রাণশক্তি আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। তাই এই বিশেষ দিনে ভগবানের চরণে কৃতজ্ঞতা জানাতেই মন্দির প্রতিষ্ঠা ও সংকীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে।”
এদিন মানগোবিন্দ বাবুকে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় করেন গ্রামবাসীরাও। শতায়ু পেরিয়েও এমন সচল ও হাসিখুশি মানুষের সান্নিধ্য পেয়ে খুশি সকলেই।
