পাচারের সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ প্রায় দুই শতাধিক গরু বাজেয়াপ্ত করেছিল। সেই গরুগুলোকে নিয়েই যত সমস্যা। পুলিশি হেফাজতে থাকা এত বিপুল সংখ্যক গরুর খাবার জোগাড় করতে ও দেখভাল করতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে জেলা পুলিশের। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রাণীসম্পদ দফতর।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতের মহকুমাশাসকদের গড়বেন আজকের মহকুমাশাসক! কীভাবে সুযোগ পাবেন জানুন
advertisement
গত ২ জুলাই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তমলুকের নিমতৌড়ি এলাকা থেকে ১৯৮ টি গরু উদ্ধার করে তমলুক থানার পুলিশ। ৬ টি গাড়িতে করে এইসব গরুগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। পুলিশের দাবি, এত সংখ্যক গরু নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে পারেনি গরু ব্যবসায়ীরা। ফলে ১৬ জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ও ১৯৮ টি গরু হেফাজতে নেয় পুলিশ। পুলিশের তরফে এরপর উদ্ধার হওয়া গরুগুলোকে যথাস্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন করা হয় আদালতে।
আদালত প্রাণী সম্পদ দফতরকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দেয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গরুগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে না নিয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে পুলিশ। তমলুকের মত এমন প্রাচীন শহরে গরুগুলোকে রাখা হবে কোথায়? অবশেষে ঠিক হয় শহরের বাইরে কোথাও রাখা হবে। সেই মত তমলুক পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বুদ্ধপার্ক এলাকায় খেলার মাঠের একপাশে ত্রিপল-বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাজেয়াপ্ত গরুদের জন্য অস্থায়ী খাটাল।
পুলিশি হেফাজতে থাকা গরুগুলোর নিরাপত্তার স্বার্থে সেখানে দিনভর পাহারা দিচ্ছেন দুই কনস্টেবল ও তিনজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। গরুগুলিকে দেখাশোনা করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে তিন অস্থায়ী কর্মীকেও। তারাই দিনরাত সেবা করে চলেছেন গরুদের। তমলুক পুরসভা থেকে জলের ট্যাঙ্ক, বিদ্যুতেরও ব্যাবস্থা করা হয়েছে। দ্রুত যাতে গরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্য জেলা পুলিশের তরফে ফের প্রাণীসম্পদ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
সৈকত শী