পর্যটকরা দিঘা ঘুরে ফেরার সময় তার পসরা দেখে থমকে যাচ্ছেন। মুহূর্তের মধ্যেই আকৃষ্ট হচ্ছেন সোহনলালের তৈরি মূর্তির দেখে। অনেকেই ছবি তোলার পর কিনে নিচ্ছেন নিজের পছন্দের মূর্তি। শুধু হাতে তৈরি বলেই নয়, তার মূর্তির সূক্ষ্ম কারুকাজ ও উজ্জ্বল রং যে কোনও শিল্পপ্রেমীকে মুগ্ধ করবেই। সোহনলালের সঙ্গে রয়েছে আরও ১০–১২ জন শিল্পীর একটি দল, যারা রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম দিঘার পর্যটকদের সামনে তুলে ধরছেন।
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার কুদিতে দিঘার রাস্তায় এই মূর্তি বানিয়ে চলেছেন সোহনলাল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলতে থাকে মূর্তি বিক্রি। সোহনলালের কথায়, “দিঘায় জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকেই আমাদের মূর্তি বিক্রি অনেক বেড়ে গেছে। আগে এমন ভিড় হত না। এখন প্রতিদিন অনেক পর্যটক আসে, দেখে, পছন্দ করে, কেনে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে ফেরার পথে অনেক পর্যটক সোহনলালের দোকান থেকে কোনও না কোনও মূর্তি কিনেই ফিরছেন। দামও সকলের নাগালের মধ্যে। মাত্র ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১,২০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের চোখ ধাঁধান মূর্তি রয়েছে। রাধা-কৃষ্ণ, জগন্নাথ, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী—সব ধরনের দেবদেবীর মূর্তি পাচ্ছেন পর্যটকরা। ফলে উৎসবের মরসুম হোক বা সাধারণ ছুটির দিন, সোহনলালের ছোট দোকানকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে জমজমাট পরিবেশ। দিঘায় পর্যটন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিনরাজ্যের শিল্পীদেরও নতুন জীবনযাত্রার পথ খুলে দিচ্ছে জগন্নাথ মন্দির।





