কোলাঘাট থানা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা যায়, ৯ ডিসেম্বর দুপুর ২টার পর কোলাঘাট থানার অন্তর্গত ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের হলদিয়া মোড়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার দুপুর থেকে এদিন ডিউটিতে যোগ দেন। শিফটিং ডিউটির এদিন দুপুর ২ থেকেই ছিল। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল। এদিন কাজে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। মৃত সিভিক ভলেন্টিয়ারের নাম সুদীপ চক্রবর্তী, বয়স ৩৮, বাড়ি কোলাঘাট থানার মান্দারগেছিয়ায়। বাড়িতে বাবা, মা ও স্ত্রী এবং ছেলে মেয়ে রয়েছে। সুদীপ বাবা মায়ের একমাত্র পুত্র সন্তান।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের দুপুর-সন্ধ্যা, মন ভাল করার অপরূপ জায়গা! ক্ষণিকের জন্য হলেও অনেকেই ঢুঁ মারেন হাওড়ার এই এলাকায়
সুদীপের প্রতিবেশী তুষার ব্যানার্জি জানান, “প্রতিবেশী হিসেবে সুদীপ সবার উপকারে লাগত। সুদীপের বয়স্ক বাবা-মা এবং স্ত্রী ও ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে। সুদীপ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল। সেদিন দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর কাজে যোগ দিয়েছিল। কাজে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়।” জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসাবে নিজের কর্তব্যের প্রতি অবিচল ছিল। ভাল কাজের জন্য ২০২৩ সালে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সম্বর্ধনা পায়। এদিন দুপুরে কাজে যোগ দেওয়ার পর এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। জাতীয় সড়কে গার্ডরেল দিয়ে লেন তৈরি করার সময় পিছন দিক থেকে একটি প্রাইভেট গাড়ি এসে ধাক্কা মারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গাড়ির ধাক্কায় সুদীপ আছড়ে পড়ে জাতীয় সড়কের ওপর। উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় তাম্রলিপ্ত গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই গাড়ি চালককে আটক করা হয়েছে।






