দাদু, দিদার সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল শিশুটি। সেখানে আসার পর বাড়ির পাশে খেলা করছিল সে। কিছু সময় পর অর্পণকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর বাড়ির পাশে পুকুরে খোঁজাখুঁজি করতেই অর্পণকে উদ্ধার করে তার আত্মীয়স্বজন। দ্রুত তাকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে এলাকায়।
advertisement
জলে ডুবে মৃত্যুর প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় কাজ করে চলেছে একটি সংস্থা। ওই সংস্থা সূত্রে খবর, গত এক দশকে গোটা বিশ্বে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ২৫ লক্ষেরও বেশি শিশুর। এর মধ্যে ১ থেকে ৪ বছর বয়সী শিশুদের সংখ্যা সব থেকে বেশি। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে শুধু সুন্দরবনেই দিনে গড়ে ৩টি শিশু জলে ডুবে মারা যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ওই সংস্থার লাগাতার প্রচারের ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা অনেকটাই কমেছিল। নতুন করে জলে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনাটিও নথিভুক্ত হয়েছে।
ওই সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জলে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধ করতে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সক্রিয় প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি। এই কাজ করেই একমাত্র শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমানো যাবে।