শিল্পের প্রতি একান্ত ভালোবাসা থেকে অকেজো জিনিসকে নিজের সৃষ্টির উপাদান হিসেবে বেছে নিয়েছেন অভিষেক। ফেলে দেওয়া নাট-বল্টু, ভাঙা কাঠ, ছোট নুড়ি, পাথর এইসবকেই নতুন রূপ দিচ্ছেন তিনি। কারও কাছে অযথা বোঝা হলেও অভিষেকের হাতে পড়ে এগুলিই হয়ে উঠছে শৌখিন শিল্পকর্ম। ঝুলন্ত শো-পিস, টেবিল সাজানোর ডেকোর, দেওয়ালে টাঙানো নকশা সবকিছুর মধ্যেই ফুটে উঠছে অভিনবত্ব।
advertisement
শুধু ঘর সাজানোর সামগ্রী নয়, আসন্ন আলোর উৎসবকেও ভিন্ন মাত্রা দিতে চাইছেন শিল্পী। পুজোর মরসুমে প্রদীপের চাহিদা বাড়তে থাকে। তাই অভিষেক নানা ধরণের প্রদীপ তৈরি করছেন। মাটির প্রদীপ, জল প্রদীপ, সুগন্ধি প্রদীপ, জেল প্রদীপ- তাঁর ভাণ্ডারে কী নেই! প্রতিটি প্রদীপই অভিনব ডিজাইন ও রঙের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে। ঘর আলোকিত করার পাশাপাশি নান্দনিকতায় ভরিয়ে তোলার ক্ষমতাও রাখে এগুলি।
অভিষেকের কথায়, তাঁর এই সৃষ্টিশীল কাজ শুধুমাত্র স্থানীয় বাজারে সীমাবদ্ধ নয়। ইতিমধ্যেই তাঁর তৈরি জিনিসের সুনাম ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষত পশ্চিম ভারতের ক্রেতাদের কাছ থেকে তিনি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। স্থানীয় গ্রাহকরা যেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তেমনই অনলাইনের দৌলতে তাঁর কাজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। বিভিন্ন ই-কমার্স অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত শিল্পীর কাছে অর্ডার আসছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একজন স্বনির্ভর শিল্পী হিসেবে অভিষেক নন্দীর এই উদ্যোগ কেবল তাঁর প্রতিভারই প্রমাণ নয়, বরং পরিবেশ সচেতনতারও দৃষ্টান্ত। ফেলে দেওয়া জিনিসকে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা যেমন পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক, তেমনই মানুষকেও ‘বর্জ্য থেকেই সৃষ্টি’ ভাবনায় অনুপ্রাণিত করছে। অভিষেক আশা রাখছেন, আসন্ন পুজো তাঁর কাজে নতুন গতি আনবে। কারণ উৎসব মানেই নতুন সাজ, নতুন আনন্দ। তাঁর হাতে তৈরি প্রতিটি জিনিস সেই আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেই বিশ্বাস শিল্পীর।





