এগরার আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক বীরকুমার শী-র কথায়, হট্টনাগর মন্দিরের বাইরে ও ভিতরে থাকা প্রতিটি মূর্তিই প্রত্নতাত্ত্বিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর মতে, এই মন্দিরে থাকা প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তিটি বিশেষভাবে দুর্লভ। ভারতবর্ষে যেসব প্রাচীন বিষ্ণুমূর্তি এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের মুখের সঙ্গে এই মূর্তির মুখের কোনও সাদৃশ্য নেই। সাধারণত ভারতীয় বিষ্ণুমূর্তিতে গোঁফ দেখা যায় না। কিন্তু এই মূর্তিতে স্পষ্ট গোঁফ রয়েছে।
advertisement
গবেষকদের আরও মত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অঞ্চলে এমন বৈশিষ্ট্যের বিষ্ণুমূর্তি দেখা যায়। বিশেষ করে কম্বোডিয়ার কিছু বিষ্ণুমূর্তিতে গোঁফ লক্ষ্য করা গেছে। আবার দক্ষিণ ভারতের কিছু কিছু বিষ্ণুমূর্তিতেও গোঁফ রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই মূর্তিটির চোখ, ভুরু ও ঠোঁটের গড়নও আলাদা। সেই গঠন অনেকটাই জাপানের কিছু বিষ্ণুমূর্তির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে মনে করছেন গবেষকরা। মুখাবয়বের এই ভিন্নতা ইঙ্গিত দেয়, এটি হয়তো কোনও একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের শিল্পরীতির প্রভাব বহন করছে। ফলে এই মূর্তির পিছনে বিদেশি শিল্পধারার ছাপ যে স্পষ্ট তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এগরার অদূরে থাকা পাথরঘাটা প্রাচীন তাম্রলিপ্ত বন্দরের খুব কাছেই ছিল। ইতিহাস বলছে, একসময় তাম্রলিপ্ত ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। সেই বন্দরের সঙ্গে বহু দেশের জলপথে বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল। এই কারণেই গবেষকদের অনুমান, বিষ্ণুমূর্তিটি হয়ত জলপথে বাইরের কোনও দেশ থেকে এখানে আনা হয়েছিল। দীর্ঘ সময় ধরে এই মূর্তিটি হট্টনাগর মন্দির চত্বরে অবস্থান করছে। আজও সেই মূর্তি দর্শনার্থীদের মনে নানা প্রশ্ন তৈরি করে, ইতিহাসের অজানা অজানা তথ্যের উত্তর দেয়!





