সেই ছোটবেলায় অভিনয় জগতে পা রাখা রমেশবাবুর। এখনও অবধি প্রায় ২০০টিরও বেশি যাত্রায় অভিনয় করে ফেলেছেন তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও সমান দক্ষ তিনি। যাত্রাপ্রেমীদের কাছে রমেশবাবু একটি ভরসার নাম। যাত্রা দল গড়ে তোলা থেকে শুরু করে মঞ্চে তোলা পর্যন্ত সব দায়িত্ব তিনি সামলাতে পারেন। গল্প বাছাই, শিল্পী নির্বাচন, মহড়া, সবেতেই তিনি সমান পারদর্শী। তাই নতুন দল হোক বা পুরনো দল, সবাই তাঁকে পাশে পেতে চায়। যাত্রা জগতের অলিখিত নিয়মকানুনও তিনি ভালো জানেন।
advertisement
স্কুল জীবনেই নাটকের জগতে পা রাখা রমেশবাবুর। শিক্ষকদের সঙ্গে মঞ্চে অভিনয় করেই শুরু। তখন থেকেই অভিনয়ের নেশা ধরে বসে। ধীরে ধীরে যাত্রা মঞ্চে যাতায়াত শুরু হয়। শুরুটা খুব সহজ ছিল না। অভিনয়ের পারিশ্রমিক ছিল মাত্র ১৫ থেকে ২০ টাকা। তবু মনের জোর হারাননি। টাকার চেয়ে ভালবাসাই ছিল বড়। সেই নেশাই একসময় পেশায় পরিণত হয়। বছরের পর বছর মঞ্চে কাটাতে কাটাতে নিজেকে তৈরি করেছেন। অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার ক্রমে সমৃদ্ধ হয়েছে। আজ তিনি এলাকার একজন দাপুটে যাত্রা অভিনেতা হিসেবে পরিচিত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অভিনয়ের পাশাপাশি সমানতালে নাটকও লিখে চলেন রমেশবাবু। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একটার পর একটা নাটক। সমাজ, জীবন ও মানুষের গল্প উঠে আসে তাঁর লেখায়। সংলাপ সহজ, কিন্তু তাতে থাকে গভীর ভাবনা। লেখার পাশাপাশি প্রযোজনাতেও সমান দক্ষ এই ব্যক্তিত্ব। নতুন শিল্পীদের সুযোগ দিতে তিনি আগ্রহী। তাঁদের হাতে ধরে শেখান মঞ্চের নিয়ম। আজও যাত্রা মঞ্চের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন তিনি। বয়স তাঁকে থামাতে পারেনি। রমেশ চন্দ্র মুনিয়ান প্রমাণ করে চলেছেন, ইচ্ছাশক্তি থাকলে বয়সের ভারে মঞ্চ কখনও দূরে সরে যায় না।





