আরও পড়ুনঃ অষ্টমী পর্যন্ত আবহাওয়ার ভিন্ন খেলা! পুজোর কোনদিন বৃষ্টিতে ভাসবে বাংলা? জানুন ওয়েদার আপেডট
টোটো টিকে এক ঝলক দেখলে ট্রেনের বগি ভেবে ভুল হতে পারে অনেকেরই। অভিনব এই উদ্যোগ গুসকরা শহরের বাসিন্দা চাঁদ মেটে নামে এক ব্যক্তির। বাড়ি গুসকরা শহরের তিন নম্বর ওয়ার্ডের মাছ পুকুর পাড় এলাকায়। পেশায় টোটো চালক চাঁদ মেটের বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা ছাড়াও রয়েছে স্ত্রী ও দুই সন্তান। তার ভাই সূর্য মেটে পেশায় রাজমিস্ত্রি। বিগত সাত বছর ধরে টোটো চালানোর কাজ করছেন চাঁদ মেটে। ঋণ নিয়ে শুরু করেছিলেন এই কাজ। অবশেষে কাজ সমাপ্ত হলে দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই আসছেন এই টোটো নিজের চোখে এক ঝলক দেখতে।
advertisement
এই অভিনব উদ্যোগ প্রসঙ্গে বন্দে ভারত টোটোর মালিক চাঁদ মেটে জানিয়েছেন, একটা বন্দে ভারত ট্রেনে গুসকরা স্টেশন দিয়ে গিয়েছিল। ওই ট্রেন আমি তখন দেখেছিলাম। গুসকরা শহরে ,মানুষদের জন্য আমার ইচ্ছে ছিল নতুন কিছু একটা করব। এখন টোটোর প্রতি অনেকে অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। তাই টোটো তে সবাই যাতে চাপে এবং শ্রদ্ধা করে, এবং আমরা যেটা নিয়ে করে খাই সেটাকে যাতে কেউ অসম্মান না করে , সেই কারণে এই উদ্যোগ।
১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে টোটো কিনেছিলেন তিনি। এরপর প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ করে নতুন রূপ দিয়েছেন তার টোটোটিকে। বানিয়ে তুলেছেন বন্দে ভারত টোটো। জানা গিয়েছে তার টোটো কে বন্দে ভারত টোটো করে তুলতে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে । টোটোর মধ্যে রয়েছে এসি । আপনার দেখে মনেই হবে না টোটো। ভিতরে বসলেই একটা আলাদা অনুভুতি হবে । বন্দে ভারত টোটো তৈরির অভিনব এই প্রয়াস সারা ফেলেছে এলাকার মানুষের মধ্যে। শহরে প্রথম এহেন উদ্যোগ দেখতে আগ্রহী সাধারণ মানুষও। পথচলতি অনেকেই টোটো টিকে একঝলক দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। আবার পেশায় টোটো চালক চাঁদ মেটের এই উদ্যোগ দেখে উৎসাহী শহরের অন্যান্য টোটো চালকরাও।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী