পূর্ব বর্ধমান জেলার আমডাঙা রূপশ্রী ত্তন্তুবায় সমবায় সমিতির টাঙ্গাইল ব্যবসায়ী তথা সমিতির ম্যানেজার সনৎ কুমার দে জানিয়েছেন , ১৯৬২ সাল থেকে তাদের সমিতিতে টাঙ্গাইল তৈরি হয় । আগে বাজার ভাল থাকলেও এখন সেরকম কদর নেই । তবে তাঁরা শুনেছেন জিআই ট্যাগ পেয়েছে। এবার তাইআশা করছেন হয়তো বিক্রি ভাল হবে ।
advertisement
আরও পড়ুন: কেন সুজিতের বাড়িতে ইডি, রয়েছে ‘বড়’ কারণ! তাপসের অফিসেও মহিলা অফিসারের তল্লাশি
পূর্ব বর্ধমান জেলার সমুদ্রগড়, ধাত্রীগ্রাম , পূর্বস্থলী, কাটোয়া, কেতুগ্রামের একাধিক জায়গায় তাঁত শিল্পের কাজ হয় দীর্ঘদিন ধরে। এই সমস্ত এলাকার শিল্পীদের তৈরি শাড়ি পাড়িদিয়েছে দেশ-বিদেশের একাধিক জায়গায়। সুনাম অর্জন করেছে বহু বিশিষ্ট জনের কাছ থেকে। আর এবার সেই শাড়িই পেল জিওগ্রাফিকাল আইডেন্টিফিকেশনের স্বীকৃতি।
জিআই ট্যাগ অর্জনের ফলে তাঁত শিল্পের মার্কেটিং আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন কালনার হ্যান্ডলুম ডেভেলপমেন্ট অফিসার রঞ্জিত মাইতি। তিনি বলেন, এতে টাঙ্গাইল শাড়ির ব্র্যান্ড ভ্যালু আরও বৃদ্ধি পাবে।ভবিষ্যতে শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সুবিধার্থে ইমপ্লিমেন্টেশনের জন্য একটি এসোসিয়েশন গঠন হবে।এই বিষয়ে এক তাঁতি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁত বুনছি। এবার আমরাও একটু আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। আশা করছি বিক্রিআগের তুলনায় বাড়বে ।
জেলার মধ্যে সমুদ্রগড়, ধাত্রীগ্রাম, শ্রীরামপুরে টাঙ্গাইলের কাজ হয়। জিআই ট্যাগের হাত ধরে আলো আঁধারের মাঝে থাকা টাঙ্গাইল তথা তাঁত শিল্প আবারও আলোয় ফিরবে। তেমনটাই স্বপ্ন দেখছেন জেলার অসংখ্য তাঁতি।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী