পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের পার্কাস রোড মোড় এলাকায় গেলেই চোখে পড়ে পরপর দুটি প্রতিমা তৈরির দোকান, আর সেখানেই স্বামীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিমা গড়ছেন দুই মহিলা শিল্পী। পূর্ণিমা পাল ও সুমনা পাল সম্পর্কে তারা দুই জা, বিয়ের পর থেকে স্বামীদের ব্যবসার হাল ধরতে শেখেন প্রতিমা তৈরির কাজ। তারপর থেকে কেটে গেছে প্রায় ১৫-১৬ বছর একইভাবে সংসার সামলে স্বামীর পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা। তারাই যেন হয়ে উঠেছেন দশভূজা।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্গা সম্মান ২০২৫ পাচ্ছেন বাঁকুড়ার ভূমিকন্যা সংহিতা, জানুন কেন বেছে নেওয়া হল তাকে
এখন খাওয়া ঘুম ছেড়ে, সংসার সামলে স্বামীকে সাহায্য করতে ব্যস্ত পূর্ব বর্ধমানের দুই মহিলা শিল্পী। কারণ সামনেই বিশ্বকর্মা পুজো আর তারপরেই হাতেগোনা কয়েকটা দিন, বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। হাতে সময় কম সঙ্গে বৃষ্টির হয়রানি, তাই অন্যান্য বারের তুলনায় কাজ করতে কিছুটা বেশি সময় লাগছে। শিল্পী পূর্ণিমা পাল জানান, বছর ১৬ আগে স্বামীকে সাহায্য করতে হাতে মাটি তুলে কাজ শুরু করেন। সংসারের কাজ সামলে তাকে ঠাকুর গড়তে হয়। তিনি আরও বলেন, মহিলা বলে অসুবিধা কিছু নেই কাজ – কাজ। ঠাকুরের অর্ডার পেলেও কাজের লোক ঠিক মতো পাওয়া যায়না, তাই স্বামীকে সাহায্য করতেই এই কাজ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কঠিন সময়ে যখন অনেকেই হাল ছেড়ে দেন, তখন সুমনা এবং পূর্ণিমা পাল কেবল নিজেদের পরিবারের পাশে দাঁড়াননি, বরং দেখিয়েছেন দৃঢ় সংকল্প এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে যে কোনও বাধাই অতিক্রম করা সম্ভব। বর্তমানে তাদের হাতের ছোঁয়ায় গড়ে উঠছে একের পর এক প্রতিমা।





