অরুপ বাবু এই প্রসঙ্গে বলেন, “ঠাকুরদা বলেছিলেন ক্লাসরুমকে সমাজের মধ্যে নিয়ে চলে যেতে হবে। এমন একটা কাজ করতে হবে যেন সমাজের কল্যাণ হয়। সেই কথা মাথায় রেখে আমি সবুজায়নকে বেছে নিয়েছিলাম ছাত্রদের মাধ্যম দিয়ে।” প্রায় ২৫ বছর আগে শুরু হয়েছিল ‘গাছ গ্রুপ’-এর পথচলা। শুরুতে একাই গাছ লাগাতেন তিনি, পরে অনেকেই তাঁর এই কাজে সামিল হন। ধীরে ধীরে তৈরি হয় একটি সুসংগঠিত দল, যার প্রধান লক্ষ্য সমাজে সবুজের পরিমাণ বাড়ানো। ‘গাছ গ্রুপ’ এর নেওয়া নানা উদ্যোগ আজ জেলার বহু মানুষের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: না যাচ্ছে বিদেশ, না দেখা মিলছে এজেন্টদের! আম চাষ করে চরম বিপাকে বিপুল সংখ্যক চাষিরা
অতিথিদের ফুলের তোড়ার পরিবর্তে গাছের চারা উপহার দেওয়া, নবদীক্ষিতদের গাছের চারা বিতরণ, পড়ুয়াদের অংশগ্রহণে ‘আমার গাছ’ প্রকল্প, ‘খণ্ড বন’ তৈরি কিংবা স্মৃতি বৃক্ষরোপণ—সব মিলিয়ে এই গ্রুপ পরিবেশরক্ষার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। অরুপ বাবু আরও জানিয়েছেন, “প্রত্যেকের উচিৎ অন্তত দুটো করে দীর্ঘজীবি গাছ রোপণ করা। তাহলে ধীরে ধীরে সমাজে অনেক গাছ বাড়বে। আর প্রশাসনের কাছে অনুরোধ যেন গাছ কাটা কম হয় সেই দিকে নজর দেওয়া।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রায় ৬০ বছর বয়সেও অরূপবাবুর উদ্যমে বিন্দুমাত্র ভাটা পড়েনি। আজও তিনি নিয়মিত গাছ রোপণ করেন, গাছের যত্ন নেন। আগামী দিনে আরও বহু পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তিনি বিশ্বাস করেন—“সমাজের জন্য কিছু ভাল করতে হবে”—এই কথাটি তাঁর ঠাকুরদার কাছ থেকে শিখেছেন, আর সেই শিক্ষাকেই জীবনের মন্ত্র করে এগিয়ে চলেছেন। পরিবেশের প্রতি এমন নিঃস্বার্থ ভালবাসা, নিরলস পরিশ্রম ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা সত্যিই প্রশংসনীয়। গাছমাস্টার অরূপ কুমার চৌধুরীর এহেন উদ্যোগ আগামী প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী