জগদ্ধাত্রী পুজো বলতেই মনে পড়ে চন্দননগর অথবা কৃষ্ণনগরের কথা, কিন্তু বর্ধমানের এই গ্রামের তাঁতিপাড়াতেও ধুমধাম করে হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। সকলে মেতে ওঠেন জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে, বাড়িতে বাড়িতে হয় আত্মীয় সমাগম। পাড়াতেই গড়ে উঠেছে ২৬ ফুটের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা। পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানা এলাকার নান্দুর গ্রামের তাঁতিপাড়া। একসময় এই গ্রামের সকলেই তাঁত বোনার কাজ করতেন। দুর্গাপুজোর সময় থাকত চরম-কর্ম ব্যস্ততা তাই আনন্দ করতে পারতেন না পুজোয়। নতুন জামা কাপড় কেনা, ভাল-মন্দ খাওয়া, পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া কোনটাই হত না তাদের। তাই আজ থেকে প্রায় ১৬ বছর আগে পাড়ার সকলে মিলে ঠিক করেন, দুর্গাপুজোয় আনন্দ হয় না তো কী হয়েছে, আমরা জগদ্ধাত্রী পুজো করব। আর তখন থেকেই তাঁতিপাড়া শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজো, পাড়াতেই গড়া হয় দেবী প্রতিমা।
advertisement
আরও পড়ুন: শেষ হতে চলেছে লো-ভোল্টেজ, লোডশেডিংয়ের ঝামেলা! সুন্দরবনে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে বিদ্যুৎ দফতর
প্রথমদিকে ছোট করে পুজো হলেও এখন বড় করে করা হয় এই পুজো। মণ্ডপসজ্জা থেকে দেবীকে সাজানো সবই করেন পাড়ার সকলে মিলে। তাই দুর্গাপুজোয় নয় জগদ্ধাত্রী পুজোতে মেতে ওঠেন পাড়ার সকলে। দুর্গাপুজোর মতোই চার দিন ধরে চলে পুজো। নবমীতে হয় কুমারী পুজো। বাড়িতে বাড়িতে হয় আত্মীয় সমাগম।পাশাপাশি পুজোর চার দিন আয়োজন করা হয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।বর্তমানে অনেকেই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও একইভাবে আজও পূর্ব বর্ধমানের তাঁতিপাড়ায় চলে আসছে জগদ্ধাত্রী পুজো।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ধনঞ্জয় গুঁই বলেন, “দুর্গাপুজোর সময় কাজের চাপ থাকে। তাই কাজ বন্ধ করে আনন্দ করা হয়ে ওঠে না কিন্তু জগধাত্রী পুজোর সময় পাঁচ দিন বন্ধ থাকে কাজ পাড়ার সকলে মিলে একসঙ্গে আনন্দে মেতে উঠি।” বর্তমানে অনেকেই আর এই পেশার সঙ্গে যুক্ত নন। কেউ কেউ করেন চাষবাস আবার কেউ করেন অন্যান্য ব্যবসা তবে আজও এই পাড়ায় হয় না কোনও দুর্গাপুজো। এখনও এভাবেই জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষেই আনন্দে মেতে ওঠে গোটা পাড়া।





