২০১৮ সালে ইউক্রেনের খারকিভ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন আকিব। আকিব জানালেন, চব্বিশ ফেব্রুয়ারি ভোর পাঁচটায় হঠাৎ বিস্ফোরণে ঘুম ভেঙে যায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারেন যে ইউক্রেনকে আক্রমণ করেছে রাশিয়া। ফোনে কথা হয় অন্যান্যদের সঙ্গে। এরপর তিনি পানীয় জল এবং খাবার সংগ্রহের জন্য বাইরে বার হন। কিন্তু অনেকের মতো তিনিও পরিমাণ মতো পানীয় জল সংগ্রহ করতে পারেননি। এর পরই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন : মহাকাশে মহাকাশচারীদের প্রস্রাব থেকে পরিস্রুত পানীয় জল ? পথ দেখাচ্ছে সুরাতের প্রতিষ্ঠান
সেই সিদ্ধান্তের ভিডিও বার্তা পাঠানো হয় কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। সেখানে জানানো হয় যে তাঁরা নিজ দায়িত্বে দেশে ফিরতে চান। তাৎক্ষণিক প্রস্তুতি সেরে প্রয়োজনীয় নথি, কিছু শুকনো খাবার নিয়ে পরের দিনই সকাল বেলায় তাঁকে তাঁর আস্তানা ছেড়ে আসতে হয়। কলেজ হস্টেল থেকে খারকিভ স্টেশন অবধি গাড়ি করে আসেন এবং সেখান থেকে প্রায় আঠারো থেকে কুড়ি ঘণ্টা তাঁরা ট্রেন সফর করে পোল্যান্ডের সীমান্তের কাছে যান। তার পর টানা দু কিলোমিটার পথ হাঁটতে হয়। তখন বাইরে বরফ পড়ছিল ৷ তার মধ্যেই প্রায় বারো ঘণ্টা ঠান্ডার মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : হাতে ফুলের তোড়া, সেনা উর্দির সঙ্গেই মাথায় ওড়না, ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে বিয়ে দুই সেনানীর
ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে পোল্যান্ড পৌঁছতে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। এর পর ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। অবশেষে বিশেষ বিমানে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে এসে আকিব সবাইকে তাঁর প্রত্যাবর্তনের রোমহর্ষক কাহিনি শোনাচ্ছেন।