রসগোল্লা, ক্ষীরকদম্ব, জলভরা, সুগার ফ্রি সন্দেশ হোক কিংবা নলেন গুড়ের তৈরি বিভিন্ন মিষ্টি, সবই থরে থরে সাজানো। কিন্তু কিস্তিমাত করছে বাড়ির মত গুড় দিয়ে তৈরি হাতে গরম পাটিসাপটা। বর্ধমানের নেতাজী মিষ্টান্ন ভান্ডারে দেদার বিক্রি হচ্ছে তাদের তৈরি হাতে গরম পাটিসাপটা। মাঠ থেকে নতুন ধান বাড়িতে যাওয়ার পর গ্রাম বাংলায় পালিত হয় নবান্ন উৎসব। নতুন ধানের চাল গুড়ি দিয়েই হয় পিঠে পার্বণ। যা আজও গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। বাড়ির বয়স্কদের হাতের তৈরি এই পিঠে আর নলেন গুড়’র আজও বাঙালির কাছে নস্টালজিয়া।
advertisement
আরও পড়ুন : মাঠেঘাটে ঘুরেছেন, হাতের তালুর মতো চেনা জঙ্গলমহল! গবেষকের ডায়েরিতে ফাঁস হবে বহু অজানা তথ্য
কিন্তু বর্তমান সময়ে কর্ম ব্যস্ততার জন্য অনেকেই আর তৈরি করতে পারেন না পিঠে। আবার বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেন না পিঠে, পাটিসাপটা বানানোর পদ্ধতি। কিন্তু আর অপেক্ষা করতে হবে না পৌষ সংক্রান্তির জন্য। তার আগেই বর্ধমানে নেতাজী মিষ্টান্ন ভান্ডারে বিক্রি করা হচ্ছে হাতেগরম পাটিসাপটা। দোকান মালিক সৌমেন দাস জানান, আমাদের দোকানে দুই রকম পাটিসাপটা বানানো হচ্ছে। একটা ক্ষীরের পাটিসাপটা, আরেকটা নারকেল এবং ক্ষীর দিয়ে তৈরি পাটিসাপটা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ক্ষীরের পাটিসাপটার দাম ১৪ টাকা এবং নারকেল ও ক্ষীর দিয়ে তৈরি পাটিসাপটার দাম ১৫ টাকা। তিনি আরও বলেন, এখনকার প্রজন্মের মানুষের সময়ের অভাব। পাশাপাশি অনেকে জানেন না কি ভাবে বানাতে হয়। তাদের খাবার ইচ্ছা থাকলেও তারা খেতে পারেন না। তাই তাদের কথা ভেবে বানানো। সেই নস্টালজিক স্বাদের জন্য আর অপেক্ষা করতে হবে না সংক্রান্তি পর্যন্ত। হাজারও কর্মব্যস্ততার মাঝেও আপনি নিতে পারবেন সেই পুরনো নস্টালজিক স্বাদ। হাতেগরম পাটিসাপটার উষ্ণতায় এই শীতকাল হয়ে উঠবে আরও সুন্দর।





