এই প্রসঙ্গে লোহাপোতা গ্রামের চাষি আমির আলী শেখ বলেন, “আমাদের চাষিদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেল। ধান সব জলের তলায়। ধার দেনা করে করা চাষ এবার কি হবে জানিনা। সরকারের কাছে সাহায্য পেলে ভাল হয়। সমস্ত পাকা ধান কার্যত জলের তলায় চলে যাওয়ার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সিঙ্গি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের লোহাপোতা, পেকুয়া, ভাটনা, মল্লিকপুর সহ বিভিন্ন এলাকার চাষিদের। লোহাপোতা বিলের মাঠের নদী তীরবর্তী এলাকায় রয়েছে বোরো ধানের জমি। বৃষ্টির জেরে যেন কার্যত বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: রেকর্ডিয়ের ৪ দিন আগেই…! হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের না গাওয়া সেই গানই এবার বর্ধমানের শিল্পীর গলায়
কারুলিয়া নদীর বাঁধ রয়েছে পেকুয়া গ্ৰামে। সেই নদীর বাঁধ পেরিয়ে যাতায়াত করেন এলাকাবাসীরা। সেই নদীর বাঁধ ভেঙে ভয়াবহ এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেই জানাচ্ছেন চাষিরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একগলা জল পেরিয়ে ধান আনতে হচ্ছে পেকুয়া গ্ৰামের মানুষদের। এই বিষয়ে পেকুয়া গ্রামের সদস্য শেখ ফজরুল হক বলেন, “এই কারুলিয়া নদী পেরিয়ে আমাদের অনেক জমি আছে সব জলের তলায়। আমাদের এলাকার বহু চাষির ক্ষতি হয়েছে। সরকার কিছুটা সাহায্য করলে এলাকার মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এ যেন পাকা ধানে মই পড়ার মত অবস্থা। বর্তমানে চাষিদের মাথায় দুশ্চিন্তার রেখা একেবারে স্পষ্ট। জলে ভেজা ধান ঝুঁকি নিয়েই ঘরে তুলতে হচ্ছে চাষিদের। বর্তমানে জলস্তর কমতে শুরু করলেও চাষিদের ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। সকলেই সরকারি সাহায্যের আবেদনও জানিয়েছেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী