TRENDING:

Offbeat Story: এই দুই মহিলার গল্প শুনলে অবাক হবেন, নিশ্চিত! কীর্তি দেখে চমকে যাচ্ছে গোটা বর্ধমান!

Last Updated:

Offbeat Story: এই দুই মহিলা বহু মানুষের অনুপ্রেরণা। এই দুজনের পরামর্শে এখন অর্থ উপার্জন করতে পারেন গুসকরার শতাধিক মহিলা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের গুসকরার জোৎস্না দিদি এবং মৌসুমি দিদির পরামর্শে স্বনির্ভরতার পথ চিনেছেন শতাধিক মহিলা। গুসকরা পঞ্চায়েতের নোয়াদা গ্রামের বাসিন্দা জোৎস্না মণ্ডল। এবং একই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত আলিগ্রামের বাসিন্দা মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়। দুজনেই ২০১১ সাল থেকে শুরু করেন দল করতে।
advertisement

পরবর্তীতে ২০১৩ সালে সংঘ সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তারও পরে ২০১৬ সালে সংঘ সমবায় সমিতি রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল। রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পরবর্তীতে খুব কম সংখ্যক মহিলা তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে ২৩৪ টা গ্রুপ হয়েছে। এবং ২৩৪ টা গ্রুপে ২৩০০ জন মহিলা রয়েছেন।

আরও পড়ুন: লা নিনা…! উল্টেপাল্টে গেল সব ভবিষ্যদ্বাণী! আবহাওয়ার ‘চরম’ ধাক্কা কবে? নভেম্বর-ডিসেম্বর নিয়ে এল মেগা আপডেট

advertisement

প্রত্যেক মহিলা এখন কম বেশি অর্থ উপার্জন করেন। জোৎস্না দিদি এবং মৌসুমি দিদিকে দেখে স্বনির্ভর তে যোগদান করেছেন অনেকেই। তবে এই দুই মহিলা প্রথম যখন শুরু করেছিলেন তখন সবটা খুব সহজ ছিলনা। বহু বাঁধা, বিপত্তি অতিক্রম করে একাধিক মানুষের কটুক্তির সম্মুখীন হয়ে আজ তারা এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। সাধারণ সদস্য থেকে হয়ে উঠেছেন সভানেত্রী এবং সম্পাদিকা।

advertisement

View More

এই বিষয়ে জোৎস্না মণ্ডল জানিয়েছেন, “বিয়ের পরবর্তিতে বেশ কয়েকবছর পর আমার স্বামীর ক্যানসার হয়েছিল। সেই সময় বম্বে তে চিকিৎসা করানোর পরে আর্থিক অবস্থাও অনেক খারাপ হয়েছিল। কিন্তু স্বামীকে রক্ষা করতে পারিনি। তাই পরবর্তিতে সংসারের হাল ধরতে দলে যোগদান করি। সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেছি সবসময়। এখন আমি আমার নিজের সংসার দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও দলের অন্যান্য মেয়েদের সংসারেও উন্নতি করতে সাহায্য করেছি।”

advertisement

মৌসুমি দিদির কাহিনীও অনেকটা জোৎস্না দিদির মত। মৌসুমি দিদিও তার স্বামীকে হারিয়েছেন। ব্যাঙ্গালোরে হার্টের অপারেশন করাতে গিয়ে গত হয়েছিলেন তার স্বামী। পরবর্তিতে হাল না ছেড়ে এখন দুজনেই অনেকটা এগিয়েছেন। দীর্ঘ পরিশ্রম করে , ছোট ছোট ব্যবসা করে সংসারের হাল ফিরিয়েছেন। এখন তাদের সংঘ সমবায় সমিতির কিছু কিছু ব্যবসাও রয়েছে।

গুসকরা শহরে রয়েছে মহিলা পরিচালিত খাবার হোটেল যার নাম পথসাথী। এছাড়াও তারা আইসিডিএস কেন্দ্রের জন্য পুষ্টি সম্পন্ন খাবার তৈরি করে তা সাপ্লাই করেন। বাচ্চাদের স্কুল ড্রেস তৈরি করেন, এছাড়াও সরকারি ন্যায্য মূল্যে ধানও কেনেন। একেবারে শুরুটা হয়েছিল আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই। তবে আজ গুসকরার এই দুই মহিলা বহু মানুষের অনুপ্রেরণা। এই দুজনের পরামর্শে এখন অর্থ উপার্জন করতে পারেন গুসকরার শতাধিক মহিলা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Offbeat Story: এই দুই মহিলার গল্প শুনলে অবাক হবেন, নিশ্চিত! কীর্তি দেখে চমকে যাচ্ছে গোটা বর্ধমান!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল