পরবর্তীতে ২০১৩ সালে সংঘ সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। তারও পরে ২০১৬ সালে সংঘ সমবায় সমিতি রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল। রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পরবর্তীতে খুব কম সংখ্যক মহিলা তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে ২৩৪ টা গ্রুপ হয়েছে। এবং ২৩৪ টা গ্রুপে ২৩০০ জন মহিলা রয়েছেন।
advertisement
প্রত্যেক মহিলা এখন কম বেশি অর্থ উপার্জন করেন। জোৎস্না দিদি এবং মৌসুমি দিদিকে দেখে স্বনির্ভর তে যোগদান করেছেন অনেকেই। তবে এই দুই মহিলা প্রথম যখন শুরু করেছিলেন তখন সবটা খুব সহজ ছিলনা। বহু বাঁধা, বিপত্তি অতিক্রম করে একাধিক মানুষের কটুক্তির সম্মুখীন হয়ে আজ তারা এই জায়গায় এসে পৌঁছেছেন। সাধারণ সদস্য থেকে হয়ে উঠেছেন সভানেত্রী এবং সম্পাদিকা।
এই বিষয়ে জোৎস্না মণ্ডল জানিয়েছেন, “বিয়ের পরবর্তিতে বেশ কয়েকবছর পর আমার স্বামীর ক্যানসার হয়েছিল। সেই সময় বম্বে তে চিকিৎসা করানোর পরে আর্থিক অবস্থাও অনেক খারাপ হয়েছিল। কিন্তু স্বামীকে রক্ষা করতে পারিনি। তাই পরবর্তিতে সংসারের হাল ধরতে দলে যোগদান করি। সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেছি সবসময়। এখন আমি আমার নিজের সংসার দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়াও দলের অন্যান্য মেয়েদের সংসারেও উন্নতি করতে সাহায্য করেছি।”
মৌসুমি দিদির কাহিনীও অনেকটা জোৎস্না দিদির মত। মৌসুমি দিদিও তার স্বামীকে হারিয়েছেন। ব্যাঙ্গালোরে হার্টের অপারেশন করাতে গিয়ে গত হয়েছিলেন তার স্বামী। পরবর্তিতে হাল না ছেড়ে এখন দুজনেই অনেকটা এগিয়েছেন। দীর্ঘ পরিশ্রম করে , ছোট ছোট ব্যবসা করে সংসারের হাল ফিরিয়েছেন। এখন তাদের সংঘ সমবায় সমিতির কিছু কিছু ব্যবসাও রয়েছে।
গুসকরা শহরে রয়েছে মহিলা পরিচালিত খাবার হোটেল যার নাম পথসাথী। এছাড়াও তারা আইসিডিএস কেন্দ্রের জন্য পুষ্টি সম্পন্ন খাবার তৈরি করে তা সাপ্লাই করেন। বাচ্চাদের স্কুল ড্রেস তৈরি করেন, এছাড়াও সরকারি ন্যায্য মূল্যে ধানও কেনেন। একেবারে শুরুটা হয়েছিল আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতোই। তবে আজ গুসকরার এই দুই মহিলা বহু মানুষের অনুপ্রেরণা। এই দুজনের পরামর্শে এখন অর্থ উপার্জন করতে পারেন গুসকরার শতাধিক মহিলা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী