অগ্রদ্বীপ গ্রামের শিল্পীদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নতুন ভাবনা, নতুন নকশা আর নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। ডিজাইনার সুমন্ত কুমার বক্সি বলেন, ঐতিহ্য বজায় রেখে শিল্পীদের নতুন ডিজাইন শেখানো হচ্ছে। এর ফলে আশা করা যায় বিক্রিও বাড়বে। এই একমাসব্যাপী কর্মশালায় ডিজাইনার সুমন্ত বক্সি শিল্পীদের শেখাচ্ছেন আধুনিক ডিজাইন, দিচ্ছেন ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ। কীভাবে সেই ডিজাইন কাঠে ফুটিয়ে তোলা যায়, কীভাবে নতুন পণ্যে আনা যায় রুচির পরশ, সবকিছুরই খুঁটিনাটি দেখিয়ে দিচ্ছেন হাতে কলমে। এই ওয়ার্কশপ শুধু রাজা রানী বা পেঁচাতেই সীমাবদ্ধ নেই। তৈরি হচ্ছে কাঠের নকশা করা আয়না, মোবাইল স্ট্যান্ড, স্টাইলিশ ওয়াল হ্যাঙ্গিং সহ নানাবিধ আকর্ষণীয় ও আধুনিক গৃহসজ্জার সামগ্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: ট্রেনের সামনে আচমকা হাতি…! দেখেই থ চালক, তারপর যা করলেন, কুর্নিশ জানাচ্ছে রেল দফতর
যা শুধু পূর্ব বর্ধমানের স্থানীয় বাজারে নয়, ভবিষ্যতে ছড়িয়ে পড়বে রাজ্যের গন্ডি পেরিয়ে জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিক বাজারেও। হস্তশিল্পী পরিতোষ ভাস্কর বলেন, “আমরাও কাজ শিখছি ভাল করে। এতদিন শুধু গতানুগতিক কাজই করতাম। তবে এবার মনে হচ্ছে আমাদের তৈরি জিনিস ভালই বিক্রি হবে।” এই বিষয়ে অগ্রদ্বীপের খ্যাতনামা কাষ্ঠশিল্পী অক্ষয় ভাস্কর বলেন, “এটা আমাদের শিল্পীদের জন্য খুব ভাল বিষয়। তাঁরা নতুন কাজ শিখছেন আবার ৩০০ টাকা করে সাম্মানিকও পাচ্ছেন। এইরকম ট্রেনিং মাঝে মধ্যেই হওয়া দরকার।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য দুটো, একদিকে অগ্রদ্বীপ গ্রামের কাষ্ঠ শিল্পকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া, অন্যদিকে শিল্পীদের রোজগারের সুযোগ বাড়িয়ে তাঁদের জীবনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেওয়া। শিল্পীরা নিজেরাও জানাচ্ছেন, এই প্রশিক্ষণের ফলে তাঁদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। নতুন কিছু শেখার আগ্রহে তাঁরা আপ্লুত। এই প্রশিক্ষণ শেষ হলে আগামী দিনে অগ্রদ্বীপ গ্রাম কেবল একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্পনগরী হিসেবেই নয়, বরং এক আধুনিক ও রুচিশীল হস্তশিল্প কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিতি পাবে এমনটাই আশা সকলের।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী