২০২২ সালে তাঁর অবসরের পর ধীরে ধীরে কমতে থাকে পড়ুয়ার সংখ্যা। একসময় মাত্র চারজন পড়ুয়া বাকি ছিল, যাদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এরপর প্রায় দু’বছর বিদ্যালয়ের কার্যকলাপ বন্ধ থাকে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়টি আবার চালু হয়। তবে ততদিনে এলাকার বেশিরভাগ পড়ুয়াই অন্য স্কুলে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। ফলে এখন মাত্র একজন পড়ুয়াকে নিয়েই চলছে ক্লাস। টিচার-ইনচার্জ কাজরী পাঁজা বলেন, ”’ আমরা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা রাখছি আগামীতে পড়ুয়াদের সংখ্যা বাড়বে।”
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, পরিকাঠামোগত উন্নতি হলে এবং নিয়মিত পঠনপাঠন চললে এলাকার ছেলেমেয়েরাই এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। অভিভাবকদের মতে, গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে দূরের স্কুলে যাতায়াত করা পড়ুয়াদের পক্ষে কষ্টকর। তাই এই বিদ্যালয়টি যদি ফের সম্পূর্নরূপে কার্যকর হয়, তা হলে অনেকেই এখানেই পড়াশোনার জন্য আসবে। স্থানীয় বাসিন্দা অর্ক ভট্টাচার্যের কথায়, বিদ্যালয়টি পুনরায় চালু হলে সেটা তাঁদের কাছেও অত্যন্ত আনন্দের খবর। পরিকাঠামো উন্নত হলে পড়ুয়াদেরও আর বাইরে যেতে হবে না।
হাল ছাড়েননি টিচার-ইনচার্জ (TIC) কাজরী পাঁজা ও সহ-শিক্ষিকা সোমা সরকার। তাঁদের মূল লক্ষ্য পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ানো। তাঁরা ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রচার চালিয়েছেন এবং অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন। পুজোর পর শুরু হবে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার। তবে বিদ্যালয়ে পানীয় জল ও শৌচাগারের অভাব এখনও রয়েছে, যা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী