TRENDING:

East Bardhaman News: হাল ছাড়েননি দুই শিক্ষিকা, একমাত্র পড়ুয়াকে নিয়েই চলছে স্কুল

Last Updated:

স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, পরিকাঠামোগত উন্নতি হলে এবং নিয়মিত পঠনপাঠন চললে এলাকার ছেলেমেয়েরাই এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: বিদ্যালয়ে ২ জন শিক্ষিকা, অথচ পড়ুয়ার সংখ্যা মাত্র ১!  এই অবাক করা বাস্তব চিত্র পূর্ব বর্ধমানের গলসি দুই নম্বর ব্লকের মহড়া গ্রামে অবস্থিত গার্লস জুনিয়র হাইস্কুলে। তবে সবরকম প্রতিকূলতা সত্ত্বেও শিক্ষাদানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষিকা কাজরী পাঁজা ও সোমা সরকার। ২০১৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের অনুমোদন পেয়ে ৩৫ জন পড়ুয়াকে নিয়ে শুরু হয় বিদ্যালয়ের পথচলা। এখানে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। তখন একজন অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক পাঠদানের দায়িত্বে ছিলেন।
advertisement

২০২২ সালে তাঁর অবসরের পর ধীরে ধীরে কমতে থাকে পড়ুয়ার সংখ্যা। একসময় মাত্র চারজন পড়ুয়া বাকি ছিল, যাদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এরপর প্রায় দু’বছর বিদ্যালয়ের কার্যকলাপ বন্ধ থাকে। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়টি আবার চালু হয়। তবে ততদিনে এলাকার বেশিরভাগ পড়ুয়াই অন্য স্কুলে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। ফলে এখন মাত্র একজন পড়ুয়াকে নিয়েই চলছে ক্লাস। টিচার-ইনচার্জ কাজরী পাঁজা বলেন, ”’ আমরা বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা রাখছি আগামীতে পড়ুয়াদের সংখ্যা বাড়বে।”

advertisement

স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, পরিকাঠামোগত উন্নতি হলে এবং নিয়মিত পঠনপাঠন চললে এলাকার ছেলেমেয়েরাই এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে। অভিভাবকদের মতে, গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে দূরের স্কুলে যাতায়াত করা পড়ুয়াদের পক্ষে কষ্টকর। তাই এই বিদ্যালয়টি যদি ফের সম্পূর্নরূপে কার্যকর হয়, তা হলে অনেকেই এখানেই পড়াশোনার জন্য আসবে। স্থানীয় বাসিন্দা অর্ক ভট্টাচার্যের কথায়, বিদ্যালয়টি পুনরায় চালু হলে সেটা তাঁদের কাছেও অত্যন্ত আনন্দের খবর। পরিকাঠামো উন্নত হলে পড়ুয়াদেরও আর বাইরে যেতে হবে না।

advertisement

হাল ছাড়েননি টিচার-ইনচার্জ (TIC) কাজরী পাঁজা ও সহ-শিক্ষিকা সোমা সরকার। তাঁদের মূল লক্ষ্য পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ানো। তাঁরা ইতিমধ্যেই স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে প্রচার চালিয়েছেন এবং অভিভাবকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন। পুজোর পর শুরু হবে মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার। তবে বিদ্যালয়ে পানীয় জল ও শৌচাগারের অভাব এখনও রয়েছে, যা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ফাঁকা জায়গার লাগবে না, আমবাগানেই হচ্ছে কুইন্টাল কুইন্টাল ফলন! বিনা ব্যয়ে লাভ পাচ্ছেন চাষি
আরও দেখুন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী 

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: হাল ছাড়েননি দুই শিক্ষিকা, একমাত্র পড়ুয়াকে নিয়েই চলছে স্কুল
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল