রুপম নিজেই বুদ্ধি খাটিয়ে অল্প খরচেই এই কুলার তৈরি করেছে। এই প্রসঙ্গে রূপম দাস জানিয়েছে, “সকলের বেশি টাকা দিয়ে কুলার কেনার সামর্থ্য থাকেনা। তাই আমি স্বল্প খরচের মধ্যে এই কুলার তৈরি করেছি। এখান থেকে বেশ ভাল ঠান্ডা হাওয়া পাওয়া যাবে। এটা নিজের বুদ্ধিতেই তৈরি করেছি, তবে বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের কাছেও সাহায্য নিয়েছি।”রুপমের কথায় এই এয়ার কুলার তৈরিতে খরচ অনেক কম। আর এই মাটির কুলার থেকে হাওয়াও পাওয়া যাবে বেশ ঠান্ডা। কুলার তৈরির সরঞ্জাম হিসেবে লাগবে একটা ব্যাটারি, একটা ছোট মাটির হাঁড়ি আর একটা ছোট ফ্যান। তারপর ধাপে ধাপে কিছু জিনিস করলেই এই কুলার বাড়িতেই তৈরি করা সম্ভব। কীভাবে তৈরি করবেন এই মাটির এয়ার কুলার ?
advertisement
এই বিষয়ে রূপম জানিয়েছে, “একটা মাটির হাঁড়ির মাঝ বরাবর কিছু ছিদ্র করতে হবে। হাঁড়ির উপরের দিকে একটা ফ্যান কার্ড বোর্ডের সঙ্গে আটকে ঢাকা দিয়ে দিতে হবে। তারপর ব্যাটারির সঙ্গে ফ্যান জুড়ে দিলেই হাঁড়ির গায়ে থাকা ছিদ্র দিয়ে ঠান্ডা হাওয়া বেরিয়ে আসবে। তবে ফ্যান চালানোর আগে হাঁড়ির মধ্যে জল দিতে হবে। এসিডিসি ১২ ভোল্ট ফ্যানের দাম পড়বে ১০০ থেকে ২০০ টাকা, হাঁড়ির দাম ৩০/৪০ টাকা আর ব্যাটারির দাম ৮০০ টাকা। সব মিলিয়ে ১০০০/১১০০ টাকার মধ্যেই এই মাটির এয়ার কুলার তৈরি করা সম্ভব।”
যাদের বেশি দাম দিয়ে কুলার কেনার সামর্থ্য নেই তারা স্বল্প খরচে বাড়িতেই এই কুলার তৈরি করে নিতে পারেন। গরমের সময় বর্ধমানের এই পড়ুয়ার তৈরি মাটির কুলার সত্যিই অভিনব। এই সহজ প্রযুক্তি যাদের ব্যয়বহুল কুলার কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের জন্য যেন আশীর্বাদস্বরূপ। রূপমের এই উদ্যোগ শুধু স্বল্প খরচেই কার্যকর নয়, বরং পরিবেশবান্ধবও। গরমের সময় এরকম মাটির কুলার ব্যবহার করলে সহজেই আরাম পাওয়া সম্ভব। অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়া রূপমের সৃজনশীলতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সকলেই!
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





