বাড়ির ভেতরে আটকে শিশু ও বয়স্করা। তার উপর রয়েছে সাপের ভয়। এ যেন বছরের পর বছর ধরে চলা এক দুঃস্বপ্ন! যার থেকে মুক্তির কোনও উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা মালতী মজুনদার বলেন, আমাদের চরম অসুবিধা হয়। ঘরে জল ঢুকে যায়, এমনকি সাপও ঢোকে। চেয়ারম্যানকে বলেও কিছুই হয়নি। শুধু বলছে হবে হবে, কিন্তু কবে হবে সেটা আমরা জানি না।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কচিকাঁচা নয়, স্কুলে পাকা চুলের ব্যক্তিদের ভিড়! নদিয়ার বিদ্যালয়ে হচ্ছেটা কী?
এছাড়াও স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, এলাকায় কার্যকর কোনও নিকাশি ব্যবস্থা নেই। ফলে বৃষ্টির জল একবার জমলে তা মাসের পর মাস থেকে যায়। পচা জল থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। এছাড়াও আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। অভিযোগ, বহুবার পুরসভায় জানিয়েও সমাধান মেলেনি। পুরসভা কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসীম ঘোষ বলেন, এটা পুরোটাই চেয়ারম্যানের গাফিলতি। এলাকার মানুষই বলে দেবেন উনি কী করেন না করেন। এই সমস্যা ২ বছর আগে বোর্ড মিটিংয়ে পাশ হয়ে আছে। কিন্তু এখনও কাজ হচ্ছে না।
আরও পড়ুনঃ ঘরের কাছেই সাইবেরিয়ার পাখি! বিদেশি ‘অতিথি’দের দেখতে যাবেন নাকি? এই ঠিকানায় গেলেই মিলবে দর্শন
অন্যদিক ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের গলাতেও একই সুর। অভিযোগ, তাঁরাও বারবার পুরসভাকে সমস্যার কথা বলেছেন। কিন্তু পুরসভা এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও উদ্যোগ নেয়নি। দিন দিন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পর্যন্ত পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দাঁইহাট পুরসভার পৌরপ্রধান প্রদীপ রায় এই বিষয়ে জানান, আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান প্রকল্পে নির্দিষ্ট দু’টি ওয়ার্ডের সমস্যার কথা লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমরা দেখছি কীভাবে সমাধান করা যায়। পুজোর আগে সমস্যার সমাধান করা যায় কিনা সেই চেষ্টা করছি। তবে দীর্ঘদিনের সমস্যা, সমাধানের জন্য সময় লাগবে। এদিকে এলাকাবাসীর প্রশ্ন, কবে হবে এই সমস্যার সমাধান? এতবার জানানোর পরেও কেন কাজ হচ্ছে না? এভাবে আর কতদিন চলবে? আশ্বাস নয়, সকলেই এবার সমাধান চাইছেন।