মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন, গামছা খোলা, দেহ একেবারে অস্বাভাবিক ভঙ্গিতে পড়ে থাকা- সব মিলিয়ে ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য। পরিবারের দাবি, এটা কোনও ভাবেই স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে না, খুন করা হয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর খবরে স্ত্রী সন্ধ্যা সাহা ভেঙে পড়েছেন।
আরও পড়ুনঃ পেটের দায়ে বোলপুরে কাজে! নেপালে রয়েছে পরিবার, Gen Z বিপ্লবের আবহে কী বলছেন নেপালি পরিযায়ীরা?
advertisement
কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমার সব শেষ হয়ে গেল। আমি শুধু চাই এই ঘটনার বিচার হোক’। মৃতের পুত্রবধূ জয়শ্রী সাহা বলেন, ‘বাড়ির সামনের ময়লা পরিষ্কার করতে আমরা বারণ করতাম, উনি শুনতেন না। এরপর এই ঘটনা। দেখে তো মনে হচ্ছে না উনি পড়ে গিয়েছেন। এটা কোনও ভাবেই স্বাভাবিক ঘটনা হতে পারে না। কেউ যদি আমার শ্বশুরমশাইকে মেরে থাকে তাহলে তাঁর শাস্তি চাই’।
পরিবারের দাবি অনুযায়ী, দেহ একেবারে উলঙ্গ অবস্থায় পড়ে ছিল। পরনে থাকা গামছাটাও খোলা ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যুর থেকে খুনের আশঙ্কাই জোরালো হয়ে উঠছে এলাকায়। এলাকার লোকেদের মধ্যেও ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। সকালের শান্ত পরিবেশ মুহূর্তেই আতঙ্কে ভরে ওঠে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অনেকে বলছেন, ‘সত্যিই যদি খুন হয়ে থাকে, তাহলে আমাদের এলাকাতেই খুনিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। সঠিক তদন্ত হোক’। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে নাদনঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। হাজির হন থানার আইসি নিজে। এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। বর্তমানে ফরেনসিক পরীক্ষা, ময়নাতদন্ত সব দিকেই নজর দিচ্ছে পুলিশ।