চায়ের দোকানের কর্ণধার স্বপণ কুমার দাস ওরফে দাদু এই বিষয়ে বলেন, “রোজ সকালে ও আমার দোকানের ভিতরে ঢুকে যাই। কাউকে মানে না, দোকানের ভিতর ঢুকে যাবে। ওকে পাউরুটি দেব আবার নিজে নিজেই চলে যাবে। রোজ ওকে একটা করে পাউরুটি দিতে হয়। যতক্ষণ ওকে কেউ কিছু না দেবে ও যাবে না। ও কালো তো সেই জন্য কালী কালী বলে ডাকি। “বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজের পাশেই রয়েছে এই দাদুর চায়ের দোকান। সারাদিনে বহু মানুষ ভিড় জমান এই দোকানে। তবে, সব খরিদ্দারের থেকে আলাদা এই কালী। তাকে দিতে হয়না এক টাকাও, দোকানে এলেই দাদু তাকে ভালোবেসে খাওয়ায় পাউরুটি। পাউরুটি খেলেই খুশি হয়ে যায় কালী। প্রায় দুবছর ধরে কালীর সকালের রুটিন এটাই। সারাদিন বর্ধমান শহরের অন্যান্য জায়গায় থাকলেও, সকাল হলেই এসে উপস্থিত হয় দাদুর দোকানে।
advertisement
সকাল ৭ টা থেকে ৯ টার মধ্যে সে আসে দাদুর চায়ের দোকানে। কালী জানে যে দাদুর কাছে এলেই সে খাবার পাবে। সেই জন্যই রোজ আসে সে। চায়ের দোকানের দাদু আরও জানিয়েছেন, “কখনও মনে হয়নি যে ওকে পাউরুটি দেব না। আমিও তো মানুষ, সকলেরই খিদে আছে। আর রোজগার একার জন্য করা হয় না। দিয়ে খেতে আমি খুব ভালোবাসি। ও আমার প্রত্যেকদিনের কাস্টমার।”
চায়ের দোকানের অন্যান্য খরিদ্দাররা অনেক সময় কালীকে দেখে ভয় পেয়ে যায়। তবে কালী কখনও কোনও ক্ষতি করেনি। বিবেকানন্দ কলেজ এলাকার অনেকেই চেনেন এই গরুটিকে। একদম নিজের মত শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় সে। তবে রোজ সকালে পাউরুটির জন্য ছুটে আসে দাদুর কাছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী