মূর্তি পরিষ্কার রাখতে কাঁচ দিয়ে ঘেরা হোক দাবি সাধারণ মানুষের। বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র কার্জন গেট। সারাদিনে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। বর্ধমানের রাজা বিজয়চাঁদ মেহতাব ও রানী রাধারানী মেহতাবকে সম্মান জানাতে কার্জন গেটের দুটি স্তম্ভের পাশেই বর্ধমান পৌরসভার অনুমোদনে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে দুটি মূর্তি বসানো হয়। ২০ আগষ্ট ২০২২ সালে রাজ বংশধর জয়চাঁদ মহাতাবের হাত ধরে উদ্ধোধন হয় মূর্তিগুলির। কিন্তু যা আজ অবহেলিত। রাস্তার ধুলো ও পাখির মলে মূর্তি দুটির বেহাল দশা। অন্যদিকে, উৎসবের মরশুমে বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী কার্জন গেট সাজিয়ে তোলা হয় আলোয়।
advertisement
আরও পড়ুন: পুলিশ স্যারের পাঠশালা! খাকি উর্দির আড়ালে শিক্ষক মন, ওসির ভাড়া বাড়িতে চলছে বিনামূল্যের ক্লাসরুম
কিন্তু এ বছর সেই আলো জ্বলেনি। এমনকি সারা বছর যে আলো জ্বলে, তাও বন্ধ। ফলে সন্ধ্যার পরে কার্জন গেট ঢেকে থাকছে অন্ধকারে। আলোয় ঝলমলে করে উঠুক কার্জন গেট, পরিস্কার করা হোক রাজা রানীর মূর্তি, চাইছেন বর্ধমানবাসী। এক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা মূর্তির নীচের অংশ প্রতিদিন পরিষ্কার করলেও উপরের অংশ পরিস্কার করা সম্ভব হয় না। ফলে নোংরা হয়ে থাকছে। দ্রুত পরিষ্কার করা হোক মূর্তি, এটাই তাঁদের দাবি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এবিষয়ে বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, রাস্তায় কাজ হওয়ার জন্য কিছু তার কাটা আছে। তাই লাইটের সমস্যা হচ্ছে। খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, খোলা জায়গায় থাকায় ধুলো, রোদ ,জল লেগে নোংরা হয়ে যায় মূর্তি। মাঝে মাঝে পরিষ্কার করা হয়। ২৫ ডিসেম্বরের আগেই আবার পরিষ্কার করা হবে। উল্লেখ্য, রাজা বিজয়চাঁদ মহাতাব ও রানী রাধারানী মহাতাবের হাত ধরেই বর্ধমান পেয়েছিল আধুনিকতার ছোঁয়া। আজ তাঁদেরই মূর্তি ধুলো আর পাখির মলে ঢাকা। অন্ধকারাচ্ছন্ন বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী কার্জন গেট।





