এই প্রসঙ্গে শিল্পী গৌতম পাল বলেন, “বাবা-দাদুর আমল থেকে এই কাজ হয়ে আসছে। আমাদের এখন মাটি আসছে ক্যানিং থেকে। তারপর সেই মাটি ছাঁচে দিয়ে আমরা মূর্তি তৈরি করে রং করে সেগুলো বিক্রি করি। এটাই আমাদের উপার্জনের একমাত্র রাস্তা। বিভিন্ন ধরনের মূর্তি আমাদের এখানে তৈরি হয়।” সাধারণত বিভিন্ন পুজো, মেলাতে ছোট ছোট ঠাকুরের মূর্তি বিক্রি হতে দেখা যায়। ঘরে সাজিয়ে রাখার জন্য ছোট্ট ঠাকুরের মূর্তির ভাল চাহিদা রয়েছে। আর সেই ছোট ঠাকুরের মূর্তিই তৈরি হয় বর্ধমানের এই এলাকায়। ছাঁচে তৈরি করা এই মূর্তি শিল্পীদের হাতের কারুকার্যে এক নতুন রূপে সেজে ওঠে। তারপর সেই মূর্তি প্যাকিং হয়ে বিক্রির জন্য বিভিন্ন জায়গায় পাড়ি দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: রথযাত্রার এ এক অন্য ছবি! বর্ধমানের এক গ্রামেই তৈরি হচ্ছে ৪০ হাজার জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা
বর্ধমান, আরামবাগ, দূর্গাপুর, তারকেশ্বর, ইলামবাজার, আসানসোল সহ আরও বিভিন্ন জায়গায় এই মূর্তি পাঠানো হয়। তবে শুধু পুরুষরা নয়, মিরছোবা পাল পাড়ার মহিলারাও এই মূর্তি তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সংসার সামলানোর পরেও বাড়ির গৃহবধূরা মূর্তি তৈরির কাজ করেন। এই প্রসঙ্গে এক মহিলা শিল্পী তারারানি পাল জানিয়েছেন, “স্বামীদের সাহায্যের জন্য আমরাও এই কাজ করি। ৭০/৮০ বছর ধরে আমাদের এখানে মূর্তি তৈরির কাজ হয়ে আসছে। সংসারের কাজ সামলে তারপর আমরা কাজ করি। মূর্তি তৈরি, রং করা বিভিন্ন কাজ আমাদের করতে হয়। সারাবছর কমবেশি এই কাজ হয়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিল্পীদের কথায় এই কাজ তাঁরা তাদের বাবা, দাদুদের কাছে শিখেছেন। এখন প্রায় শতাব্দী প্রাচীন এই শিল্প। আধুনিকতার যুগে আজও নিজের জায়গা ধরে রেখেছে, বর্ধমান শহরের মিরছোবা পাল পাড়া এলাকার শিল্পীদের তৈরি ছোট মাটির মূর্তি। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০/৯০০ টাকা দামের মূর্তিও পাওয়া যায় বর্ধমানের এই জায়গায়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী