ঘটনাস্থলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বাড়িটিতে মূলত গয়না কারিগর পরিবারগুলি ভাড়া থাকতেন। তাঁদের বেশিরভাগই ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার মানুষ। ভোররাতের সেই সময় ঘুমের মধ্যে আচমকা ভেঙে পড়া দেওয়ালে এক নিমেষে সব শেষ হয়ে যায় প্রভাত বাগদি ও তাঁর ছোট্ট সন্তানের।
আরও পড়ুন: হাতির তাণ্ডবে ক্ষতির মুখে বিঘার পর বিঘা ধান! ক্ষতিপূরণ আদায়ে পথে নামলেন ক্ষতিগ্রস্তরা
advertisement
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন প্রভাতের স্ত্রী সুমিত্রা বাগদি। এছাড়াও কাশিপুরেরই বাসিন্দা বাসুদেব বাগদি, সুপর্ণা বাগদি, সোনু বাগদি ও ঋষি বাগদি জখম হয়েছেন। রাতভর ব্যাপক উদ্ধারকাজ চালায় স্থানীয় প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে গুরুতর অবস্থায় জয়পুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে পূর্ব বর্ধমানের কাশিপুর গ্রামে। একদিকে প্রভাত ও তাঁর ছোট্ট মেয়ের মৃত্যুর খবরে শোকে বিহ্বল আত্মীয়স্বজন, অন্যদিকে আহতদের অবস্থা নিয়েও উৎকণ্ঠা বাড়ছে প্রতিটি মুহূর্তে। গ্রামের মানুষজন জানাচ্ছেন, রোজগারের তাগিদে রাজস্থানের মতো দূর রাজ্যে গিয়ে গয়নার কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। সংসার চালানোর জন্যই ভিনরাজ্যে পাড়ি দেওয়া, আজ সেই সিদ্ধান্তই কাল হয়ে দাঁড়াল কাশিপুরের এই পরিবারগুলির জন্য।
গ্রামের এক প্রতিবেশী ভেঙে পড়া গলায় বলেন “ওরা তো শুধু রোজগারের জন্য গিয়েছিল। ভাবিনি, এমন দুঃসংবাদ নিয়ে ফিরতে হবে। একসঙ্গে বাবা-মেয়ে চলে গেল। এই ক্ষত কোনওদিন ভরবে না।”