শনিবার রাতে মেমারি থানার বড়র গ্রামের বাসিন্দা প্রতিমা ক্ষেত্রপালের (৩৮) মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর রবিবার সকালে গ্রামেরই শ্মশানে দেহটি দাহ করতে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। মৃত গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানান হয়, তাদের মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। খবর পেয়ে মেমারি থানার পুলিশ তড়িঘড়ি বড়র গ্রামের শ্মশানে পৌছায়। শ্মশানে পৌঁছে পুলিশ দেখে চিতা সাজানো হয়ে গিয়েছে। মৃতদেহ দাহ করা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
advertisement
পুলিশ মৃত বধূর বাপের বাড়ির আত্মীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা হঠাৎই অসুস্থ হয়ে মারা যান বলে তাঁর শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে জানান হয়। কিন্তু চিকিৎসার কোনও কাগজ বা ডেথ সার্টিফিকেট তাঁরা দেখাতে পারেননি। সে কারণেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধনতেরাসের দিনেই মহাগোচর! ৩ রাশির বৃহস্পতি তুঙ্গে, কুবেরের কৃপায় কপালে শুরু হবে ধনবর্ষা
মৃতার বাপের বাড়ির লোকজনদের অভিযোগ, সকালে খবর আসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিমার মৃত্যু হয়েছে। অথচ কোনও ডেথ সার্টিফিকেট নেই। এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও কারণও থাকতে পারে। সত্যিই অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। সকালে খবর মেলে মৃতদেহ দাহ করার প্রস্তুতি চলছে। তখনই আমরা মেমারি থানায় যোগাযোগ করি। এরপর শ্মশান থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ তা ময়না তদন্তে পাঠায়।