পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর কুমার সাহা জানিয়েছেন, “শহরে কুকুরের দৌরাত্ম এমন জায়গায় পৌঁছেছিল যে প্রায় প্রতিটি মানুষ আতঙ্কে ছিলেন। বহুদিনের চেষ্টায় অবশেষে আমরা একটি আন্তর্জাতিক স্তরের এনজিওকে পাশে পেয়েছি, যারা প্রথম পর্যায়ে শহরের ৫০০টি পথ কুকুরকে ভ্যাকসিন দেবে।” উল্লেখযোগ্যভাবে, এই কর্মসূচির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে “মিশন র্যাবিশ” নামক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রদান করা অ্যাপ, যেখানে প্রতিটি কুকুরের বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ধমান-বোলপুর ১১৪ জাতীয় সড়কের বেহাল দশা…! আর কষ্ট নয়, হাল ফেরানোর সময়সীমা জানিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ
জিভা ফাউন্ডেশনের কর্ণধার শ্রীতমা ব্যানার্জী জানিয়েছেন, “কোনও কুকুরের ভ্যাকসিন হয়েছে, তার মালিক আছে কিনা, সে মেল না ফিমেল, বয়স কত, এমনকি তার নির্বীজন (স্টেরিলাইজেশন) হয়েছে কিনা সবই অ্যাপে থাকবে। ভবিষ্যতে ওই কুকুরের কোনও অসুবিধা হলে এখান থেকেই তথ্য নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কাটোয়া শহরে বর্তমানে আনুমানিক ১৫০০ থেকে ২০০০ পথ কুকুর রয়েছে। তবে প্রথম পর্যায়ে ৫০০ কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা দেওয়া হবে। কর্মসূচি সম্পন্ন করতে প্রায় পাঁচ দিন সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে বাকি কুকুরদেরও ভ্যাকসিনেশন করা হবে। এই উদ্যোগে শহরের সাধারণ মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। দীর্ঘদিনের আতঙ্ক কাটিয়ে এবার আশার আলো দেখছেন তাঁরা। টিকাদানের ফলে কুকুরের কামড়ে জলাতঙ্কের আশঙ্কা কমবে এবং রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে বলেই আশাবাদী পুরসভা ও নির্দিষ্ট সংগঠনগুলি।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী