১৭ জানুয়ারি শুক্রবার রাষ্ট্রপতি নিজের হাতে সায়নীকে তুলে দিয়েছেন এই পুরস্কার। এহেন স্বীকৃতি মেলায় অনেকটাই আনন্দিত ও গর্বিত সাঁতারু সায়নী দাস। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,”এই অ্যাওয়ার্ড পেয়ে সত্যিই আমি খুবই গর্বিত। এই অ্যাওয়ার্ডে কালনা তথা বর্ধমান তথা বাংলার নাম উল্লেখ হয়েছে এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওনা। এই অ্যাওয়ার্ডের যে অর্থমূল্য সেটা দুটি চ্যানেল যেটা আমি ২০২৪ সালে ক্রস করে এসেছি তার জন্য ব্যাঙ্কে যে লোন ছিল সেটা অনেকটাই মুকুব করা সম্ভব হবে। আগামী জিব্রাল্টার চ্যানেল জয়লাভ করার জন্য একটা যে খরচের সমস্যা হয়েছিল সেখানেও অনেকটাই হেল্প হবে।”
advertisement
সায়নীর লক্ষ্য সপ্ত সিন্ধু জয়লাভ করা। যার মধ্যে পাঁচটা ইতিমধ্যেই জয় করেছে সে। বাকি রয়েছে সুগারু ও জিব্রাল্টার। সেই লক্ষ্যে ষষ্ঠ সিন্ধু অর্থাৎ জিব্রাল্টার চ্যানেল জয়লাভের জন্য অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে সায়নী। কালনার মত জায়গায় দাঁড়িয়ে একসময় সায়নীর মনে হয়েছিল সে সাঁতার ছেড়ে দেবে। তবে শেষমেষ হার মানেনি সে। কঠিন পরিশ্রম এবং নিজের স্বপ্ন পূরণের তাগিদে কালনার সেই মেয়ে ইতিমধ্যেই জয়লাভ করে ফেলেছে পাঁচটা প্রণালী। মেয়ের এই সাফল্যে সায়নীর মা জানিয়েছেন, মেয়ের এই সাফল্যে খুবই ভাল লাগছে। নিজেকে অনেকটাই গর্বিত মনে করছি।
আরও পড়ুনঃ GK: ইংরেজিতে সবথেকে লম্বা শব্দ কোনটি আপনি জানেন? একবারে উচ্চারণ করতে ব্যর্থ ৯৯ শতাংশ
প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে নর্থ চ্যানেল জয়লাভ করেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার সায়নী দাস। এবার তার লক্ষ্য জিব্রাল্টার চ্যানেল। মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়ে সায়নি। ছোট বয়সেই বাবার হাত ধরে সাঁতারে হাতেখড়ি তাঁর। তারপর থেকে কঠিন অনুশীলনের মাধ্যমে সে নিজেকে সাঁতারু হিসেবে গড়ে তুলেছে। সায়নীর স্বপ্ন বা ইচ্ছা সে সপ্তসিন্ধু জয় করবে। সায়নীর এই সাফল্যে বর্তমানে খুশির হাওয়া পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী