TRENDING:

নিজের হাতে গড়া সাফল্যের গল্প লণ্ডনে পৌঁছে দিলেন বর্ধমানের গৃহবধূ! ব্রিটিশদের শেখালেন কাঁথাস্টিচ, গর্ব বাংলার

Last Updated:

পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জঙ্গলমহল, এখানকার মহিলারা আজ নিজেদের হাতে গড়ছেন সাফল্যের গল্প। সূঁচ-সুতোয় ফুটিয়ে তোলা গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাখি, ফুল, উৎসব কিংবা জীবনযাপনের গল্প এখন ছড়িয়ে পড়ছে দেশ-বিদেশে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আউশগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরী: পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জঙ্গলমহল, এখানকার মহিলারা আজ নিজেদের হাতে গড়ছেন সাফল্যের গল্প। সূঁচ-সুতোয় ফুটিয়ে তোলা গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাখি, ফুল, উৎসব কিংবা জীবনযাপনের গল্প এখন ছড়িয়ে পড়ছে দেশ-বিদেশে। ওয়ারিশপুরের মহিলারা কাঁথাস্টিচের শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি থেকে শুরু করে বিছানার চাদর পর্যন্ত নানা পণ্য তৈরি করছেন, আর সেগুলো যাচ্ছে আমেরিকা ও ডেনমার্কের বাজারেও। এই কাঁথাস্টিচ শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন ওয়ারিশপুরের বুল্টি বেগম।
কাঁথা স্টিচ 
কাঁথা স্টিচ 
advertisement

কয়েক মাস আগেই তিনি ফিরেছেন লণ্ডন থেকে। ব্রিটিশ পড়ুয়াদের কাঁথাস্টিচের নকশা শেখাতে গিয়েছিলেন তিনি, যে শিল্প একসময় বাংলার ঘরে ঘরে প্রজন্ম ধরে চলেছে, সেটাই আজ পৌঁছে গেছে টেমস নদীর তীরে। ১০ দিন ধরে চলেছিল সেই কর্মশালা, যেখানে দোভাষীর মাধ্যমে দুই সংস্কৃতির শৈল্পিক সেতুবন্ধন ঘটেছিল। ব্রিটিশ ছাত্রছাত্রীরা মুগ্ধ হয়ে শিখেছেন কাঁথাস্টিচের সূক্ষ্ম কারুকাজ, ছবি তুলেছেন প্রতিটি নকশার।

advertisement

আরও পড়ুন: রেশম শিল্পে মন খারাপ করা ছবি! পরিকল্পনার অভাবে গবাদিপশুদের জন্য বিক্রি করতে হচ্ছে তুঁতপাতা

বুল্টি বেগম বলেন, “আমার মতো এক গ্রামের মেয়ে যে লণ্ডনে গিয়ে ব্রিটিশদের কাঁথাস্টিচ শেখাব, এটা ভাবতেই পারিনি। ওরা অবাক হয়ে গিয়েছিল, এত সূক্ষ্ম কাজ হাতে করা যায় জেনে। এখন আমি গ্রামের মহিলাদের বলি পরিশ্রম করলে স্বপ্নও সত্যি হয়।” ওয়ারিশপুর, বননবগ্রাম, আলেফনগর, বাগরাই, সোমায়পুর, ভেদিয়া এই সব গ্রামে বহু মহিলা বছরের পর বছর ধরে এই শিল্পে যুক্ত। কেউ মা-কাকিমার কাছ থেকে শিখেছেন, কেউ বিয়ের পর নতুন গ্রামে এসে প্রতিবেশীদের দেখে। সংসারের ফাঁকে ছুঁচ-সুতো হাতে নিয়ে তাঁরা বুনছেন শিল্প আর আত্মনির্ভরতার গল্প। আগে মহাজনের কাছ থেকে বরাত পেয়ে কাজ করতেন তাঁরা, এখন অনলাইনেই বিক্রি করেন নিজেদের তৈরি পণ্য। বিশ্ববাংলার শোরুমেও মেলে সেই শিল্পকর্ম। আয়ের উৎস বেড়েছে, বদলেছে গ্রামের অর্থনৈতিক চিত্রও। সম্প্রতি এখানকার কয়েকজন শিল্পী ডেনমার্ক সফর করে এসেছেন, বাংলার কাঁথাস্টিচ পৌঁছে গেছে বিশ্ব দরবারে।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ঝুলন গোস্বামীকে ডিলিট দিল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, মোট ৫ জনকে দেওয়া হল বিশেষ সম্মান
আরও দেখুন

বননবগ্রামের এক শিল্পী জানান, “আমাদের এখানে শিউল ফল খুব প্রচলিত, তাই সেই নামেই আমরা নকশার নাম দিয়েছি ‘শিউল কাঁথা’। এখন আমাদের কাজের চাহিদা বিদেশেও বাড়ছে।” তাহমিনা বেগম, রুনা মোল্লা, পূর্ণিমা বিবি, ওহিদা খাতুন ও ফুলবানু শেখের কথায়, “বুল্টি দিদি বিদেশে গিয়ে যেভাবে কাজের মান তুলে ধরেছেন, তাতে আমাদেরও অনুপ্রেরণা মিলছে। এখন আমরা আরও মন দিয়ে কাজ করছি।”

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
নিজের হাতে গড়া সাফল্যের গল্প লণ্ডনে পৌঁছে দিলেন বর্ধমানের গৃহবধূ! ব্রিটিশদের শেখালেন কাঁথাস্টিচ, গর্ব বাংলার
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল