উল্লেখ্য, এই এলাকার ফুল চাষের বেশ কদর রেছে। এখানকার চাষ করা গাঁদা ফুলের বিভিন্ন প্রজাতি ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। তাই পড়াশোনা শেষ করে বহু ছেলেমেয়ে উপার্জনের তাগিদে হাত লাগাচ্ছেন এই কাজে। পূর্বস্থলীতে নানান প্রজাতির গাঁদা ফুলের চাষ করছেন কৃষকরা। সবজি চাষের তুলনায় ফুল চাষে লাভ আরও কিছুটা বেশি হচ্ছে। তাই ফুল চাষের দিকেই মনোযোগ দিয়েছেন অনেকে।
advertisement
আরও পড়ুন: ম্যাজিক নয়, বিশ্বাসের ভিত হোক লজিক! কুসংস্কারের বেড়াজাল ভাঙতে সুন্দরবনে তরুণদের বিরাট কর্মযজ্ঞ
উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে চাকরির জন্যে বিভিন্ন জায়গায় কড়া নেড়েও কোনও লাভ হয়নি। বহু চেষ্টা করেও চাকরির ব্যবস্থা হয়নি। তাই আর বেকার বসে না থেকে নিজেদের পেটে একমুঠো ভাত জোগাতে চাষের দিকে এগিয়েছেন কালনার পূর্বস্থলীর মেধাবী ছাত্ররা। তারা নিজেই ফুলের জমিতে শ্রম দিচ্ছেন। বেছে বেছে ফুলের চারা তুলছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার বিখ্যাত পুতুলনাচ আউশগ্রামের মাঠে, টেক্কা দিল ‘চদর-বদর’! লা-জবাব পরিবেশনে মুগ্ধ সবাই
যাতে ভিন্ন রাজ্যে ক্রেতাদের এই ফুল আকর্ষণ করতে পারে তার জন্য নানাভাবে পরিশ্রম করছেন তাঁরা। এক্ষেত্রে শুধু কৃষক পরিবারের ছেলেমেয়েরা নয়, হাত লাগিয়েছেন অন্যরাও। যাঁদের নিজের জমি নেই, তাঁরা ভাগচাষ করছেন। তাঁদের আশা, ফুল ভাল বাজার করতে পারলে লাভ হবে। বেকার বসে থাকতে হবে না। রোজগারের নতুন দিশা পাবেন তাঁরা। তাই পড়াশোনা শেষ করে আর কাজের খোঁজ করছেন না। বরং স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছেন সকলে।
