এই প্রসঙ্গে আখ চাষি আমজাদ মণ্ডল বলেন, “অন্যান্য বছর সেভাবে লাভ না হলেও এবছর আমাদের ভাল লাভ হচ্ছে। বিঘা প্রতি আখ বিক্রি করে বেশ ভাল টাকা লাভ হচ্ছে।” পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর নসরৎপুর গোয়ালপাড়া সংলগ্ন দুটি আখের আড়ৎ আছে। পূর্বস্থলীর বেশিরভাগ আখ চাষি এখানেই তাঁদের আখ নিয়ে আসেন। দূরদূরান্ত থেকে বহু ক্রেতা এসে এখান থেকে আখ কিনে নিয়ে যান। নসরৎপুরের এই গোয়ালপাড়া আখের আড়ৎ থেকে আখ পাড়ি দেয় কলকাতা, বিহারের মত আরও বিভিন্ন জায়গায়। তীব্র গরমে চাহিদা বেড়েছে আখের রসের।
advertisement
স্বভাবতই একই কারণে বাজারে আখেরও এখন প্রচুর চাহিদা। আখের এখন রমরমা বাজার। আর চাহিদা বেশি থাকায় আখের ভাল দামও পাচ্ছেন চাষিরা। মানিক নগর, ডাঙ্গাপাড়া, মাঠের পাড়া, বিদ্যানগর, গুপ্তিপাড়া ইত্যাদি জায়গা থেকে আখ চাষিরা তাদের উৎপাদিত আখ নিয়ে আসেন বর্ধমানের এই আখের আড়তে। তারপর সেই আখ বিক্রি হয়ে চলে যায় আসানসোল, দুর্গাপুর, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, রানিগঞ্জ সহ ভিন জেলাতেও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আখ চাষি আশরাফ হোসেন বলেন, “এক বিঘা জমিতে আখ চাষ করতে আমাদের খরচ হয় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। আর এখন এক বিঘা জমির আখের মোট দাম পাচ্ছি ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার পর্যন্ত। আমরা অনেক খুশি লাভ ভালই হচ্ছে।” ভাল দামে আখ বিক্রি করতে পারায় লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা। দীর্ঘ পরিশ্রমের পর লাভ ভাল হওয়ায় চরম খুশি চাষিরা। আগামী দিনে এই আখ চাষি সকলেই আরও বেশি পরিমাণে চাষ করবেন বলেও জানিয়েছেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী