TRENDING:

East Bardhaman News: ধানক্ষেতই এখন তার ক্লাসরুম! ডাক্তার হওয়ার 'সোনালি' স্বপ্নে চিকচিক করছে ছোট্ট নিকিতার দু'চোখ, দারিদ্রতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চালাচ্ছে লেখাপড়া

Last Updated:

East Bardhaman News: অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া নিকিতার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। দরিদ্র বাবা-মা এবং গ্রামের গরিব মানুষদের চিকিৎসা করতে চায় সে। তাই ধানক্ষেতই হয়ে উঠেছে তার ক্লাসরুম।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ভাতার, পূর্ব বর্ধমান, সায়নী সরকার: রোজগারের আশায় ভিন রাজ্য থেকে এরাজ্যে ধান কাটার কাজ করতে এসেছেন এক দম্পতি আর তাদের সঙ্গে এসেছে ছোট্ট নিকিতা। সারাদিনের শ্রমে শরীর ক্লান্ত, কিন্তু হৃদয়ে সন্তানকে মানুষ করার এক অদম্য বাসনা। কারণ নিকিতার দু-চোখে স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার। তাই পড়াশোনা থামায়নি সে। মাঠের পাশেই বই নিয়ে চলছে পড়াশোনা। নিকিতার এই স্বপ্ন কেবল নিজের জন্য নয়। সে দেখেছে, দিনের পর দিন তার মা-বাবা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কীভাবে ক্লান্তির ভারে নুইয়ে পড়েন তাকে মানুষ করার জন্য। যখন তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক সময় আর্থিক অভাবে হয়তো ভাল ডাক্তার দেখাতে পারেন না। তাই বড় হয়ে মা-বাবা ও গ্রামের গরিব মানুষদের চিকিৎসা করতে চায় সে।
advertisement

পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে একটি বাড়িতে ধান কাটার কাজে এসেছেন দম্পতি বাবুলাল মারান্ডি ও কারমেলা হেমব্রম। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে এসেছেন তারা মাস খানেক এখানে থেকে ধান কেটে অর্থ উপার্জনের আশায়। ছোট মেয়ে কোথায় থাকবে? তাই সঙ্গে করেই নিয়ে এসেছেন অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছোট্ট নিকিতাকেও।

আরও পড়ুনঃ কমছে চাহিদা, তলানিতে আয়! তবুও ধান কাটার মরশুম এলেই ‘শস্য গোলা’র কামার শিল্পীদের মুখে হাসির ছটা, লক্ষ্মী আসে ঘরে

advertisement

কিন্তু এই কয়েকমাসে যেন পড়াশোনায় কোন ক্ষতি না হয় তাই কখনও মা-বাবা মাঠে ধান কাটতে যাওয়ার পরই বাড়িতে তো আবাব কখনও মা-বাবার সঙ্গে ধান জমির পাশেই বই নিয়ে বসে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে নিকিতা। কারণ বরাবরই ক্লাসে ফার্স্ট হয় সে। তার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার।

View More

শেখ বাবলু জানান, “আমাদের পরিবারে তারা কাজ করতে এসেছেন। তবে আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি একটি আদিবাসী পরিবারের ছোট মেয়ের চেষ্টা দেখে। আমরা চাই নিকিতার স্বপ্নপূরণ হোক। তাকে দেখে যেন অন্যান্যরাও উৎসাহিত হয়।”

advertisement

আরও পড়ুনঃ মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকা যায়! অপরের জীবন বাঁচানোর মহৎ উদ্দেশ্যে মরণোত্তর অঙ্গদান পুরুলিয়ার দম্পতির

সমাজসেবী শেখ মজনু জানান, “দেখলাম এক দম্পতি মাঠে কাজ করছে আর তাদের ছোট্ট মেয়ে মাঠের ধারে বসেই পড়াশোনা করছে। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম সে ডাক্তার হতে চায় শুনে খুবই ভাল লাগল এবং গর্ববোধ হল। চাইবো তাকে দেখে সবাই উৎসাহিত হোক। যতদিন সে ভাতারে আছে যদি কোন সাহায্য লাগে আমরা পাশে দাঁড়াব।”

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ধানক্ষেতই এখন তার ক্লাসরুম! ডাক্তার হওয়ার সোনালি স্বপ্নে চিকচিক করছে ছোট্ট নিকিতার দু'চোখ
আরও দেখুন

নিকিতার এই অদম্য জেদ আর চোখে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন সব মিলিয়ে যেন এক সুন্দর ভবিষ্যতের ছবি আঁকা হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের এই ধানক্ষেতের ধারে। তার ডাক্তার হওয়ার এই স্বপ্ন কেবল একটি স্বপ্নই নয় এটি তার মা-বাবা এবং গ্রামের প্রতিটি পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতি তার ভালবাসা ও আবেগের প্রতিচ্ছবি।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: ধানক্ষেতই এখন তার ক্লাসরুম! ডাক্তার হওয়ার 'সোনালি' স্বপ্নে চিকচিক করছে ছোট্ট নিকিতার দু'চোখ, দারিদ্রতাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চালাচ্ছে লেখাপড়া
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল