পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে একটি বাড়িতে ধান কাটার কাজে এসেছেন দম্পতি বাবুলাল মারান্ডি ও কারমেলা হেমব্রম। ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে এসেছেন তারা মাস খানেক এখানে থেকে ধান কেটে অর্থ উপার্জনের আশায়। ছোট মেয়ে কোথায় থাকবে? তাই সঙ্গে করেই নিয়ে এসেছেন অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছোট্ট নিকিতাকেও।
advertisement
কিন্তু এই কয়েকমাসে যেন পড়াশোনায় কোন ক্ষতি না হয় তাই কখনও মা-বাবা মাঠে ধান কাটতে যাওয়ার পরই বাড়িতে তো আবাব কখনও মা-বাবার সঙ্গে ধান জমির পাশেই বই নিয়ে বসে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে নিকিতা। কারণ বরাবরই ক্লাসে ফার্স্ট হয় সে। তার স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার।
শেখ বাবলু জানান, “আমাদের পরিবারে তারা কাজ করতে এসেছেন। তবে আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি একটি আদিবাসী পরিবারের ছোট মেয়ের চেষ্টা দেখে। আমরা চাই নিকিতার স্বপ্নপূরণ হোক। তাকে দেখে যেন অন্যান্যরাও উৎসাহিত হয়।”
আরও পড়ুনঃ মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকা যায়! অপরের জীবন বাঁচানোর মহৎ উদ্দেশ্যে মরণোত্তর অঙ্গদান পুরুলিয়ার দম্পতির
সমাজসেবী শেখ মজনু জানান, “দেখলাম এক দম্পতি মাঠে কাজ করছে আর তাদের ছোট্ট মেয়ে মাঠের ধারে বসেই পড়াশোনা করছে। জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলাম সে ডাক্তার হতে চায় শুনে খুবই ভাল লাগল এবং গর্ববোধ হল। চাইবো তাকে দেখে সবাই উৎসাহিত হোক। যতদিন সে ভাতারে আছে যদি কোন সাহায্য লাগে আমরা পাশে দাঁড়াব।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নিকিতার এই অদম্য জেদ আর চোখে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন সব মিলিয়ে যেন এক সুন্দর ভবিষ্যতের ছবি আঁকা হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের এই ধানক্ষেতের ধারে। তার ডাক্তার হওয়ার এই স্বপ্ন কেবল একটি স্বপ্নই নয় এটি তার মা-বাবা এবং গ্রামের প্রতিটি পিছিয়ে পড়া মানুষদের প্রতি তার ভালবাসা ও আবেগের প্রতিচ্ছবি।





