ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূরের দেখা মিলছে আদুরিয়া ও তার আশপাশে এলাকায়। এই ময়ূরের সংখ্যা বাড়তে থাকায় খুশি বনদপ্তর। পূর্ব বর্ধমানের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার নিশা গোস্বামী বলেন, ময়ূরের সংখ্যা বাড়ছে এটা ভালো দিক। আগামী .দিনে জঙ্গলে আগুন লাগা যাতে বন্ধ হয় তার জন্য আমরা প্রচার চালাচ্ছি। তাতে ময়ূরের পাশাপাশি অন্যান্য জীবজন্তু রক্ষা পাবে। তাছাড়া ময়ূরের সংখ্যা কতটা বাড়ল তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
advertisement
আরও পড়ুন- North 24 Parganas News : কেন বিকল সিসিটিভি? চিন্তা বাড়ছে নিউটাউনের নিরাপত্তা নিয়ে
কয়েক বছর আগে কাঁকসার জঙ্গলে দেউলে পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি ময়ূর ছেড়েছিল বনদপ্তর। ধীরে ধীরে উপযুক্ত পরিবেশে সেই ময়ূর বংশ বিস্তার করে আশেপাশের জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়েছে। আদুরিয়া জঙ্গলে প্রায় ১৫০-২০০ ময়ূর দেখা যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৪০টির কাছাকাছি।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রেমগঞ্জ, কুনুর নদীর ধারে রাঙাখুলা, আদুরিয়া, হেদোগড়িয়া এলাকাগুলিতে সকাল ও বিকেল দু' বেলাই ময়ূরের দৰ্শন মিলছে।এক একটি ঝাঁকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি ময়ূর দেখা যাচ্ছে। সরষে জমির আশেপাশে তারা দল বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গত বছরে অনেক বাচ্ছার জন্ম দিয়েছিল। সেগুলিও ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে।
তাদের টানেই আসছেন পর্যটকরা। জেলার আশপাশের প্রান্ত থেকে তো বটেই পাশের বীরভূম পশ্চিম বর্ধমান এমনকি কলকাতা থেকেও আসছেন অনেকে। অনেকেই দল বেঁধে থাকা ময়ূরের ছবি ক্যামেরা বন্দি করছেন। পেখম মেলে ময়ূরের নাচ দেখতে পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বনদপ্তর জানিয়েছে, এই ময়ূরগুলির পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জঙ্গলে কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা। আগুন লাগানো ও শিকার বন্ধ করতে জঙ্গলে ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। আদিবাসী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকও করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ডাক্তারি পড়ার স্বপ্ন থেকেই বিপত্তি! ট্রেনে ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ, তারপরই...!
আদুরিয়া বনদপ্তরের বিট অফিসার তাপস মাহাতো বলেন, বছরখানেক ধরে ময়ূরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আদুরিয়া বিটের অধীনে বিভিন্ন জঙ্গলে ময়ূরের দল ছড়িয়ে রয়েছে। এটা খুশির বিষয়। জঙ্গলে ময়ূরের খাবারের অভাব নেই। খাদ্য ও নিরাপত্তা দুটোই পেলে ময়ূরের সংখ্যা আরও বাড়বে।