সাধারণত এই মূর্তি তৈরির প্রাথমিক কাঠ কাটা ও আকৃতি তৈরির কাজ করেন গ্রামের পুরুষরা। আর সেই মূর্তিগুলোকেই প্রাণ দেন গ্রামের মহিলারা। তাঁদের নিখুঁত রং তুলির ছোঁয়ায় যেন কাঠের মূর্তি নতুন রূপে সেজে ওঠে। গ্রামের বাসিন্দা রীতা সূত্রধর বলেন, “বহু দিন ধরেই আমরা এই কাজ করছি। আমাদের কাঠের পুতুলে রং করতে হয়। তারপর সেটা প্যাকিং হয়ে চলে যায় রাজ্যে রাজ্যে। আমাদের উপার্জনও হয় আর ভালই লাগে এই কাজ করতে।”
advertisement
গৃহস্থালির সমস্ত কাজ সামলে দিনভর কাঠের মূর্তিতে রং করে চলেন পূর্ব বর্ধমানের অগ্রদ্বীপের মহিলারা। একাগ্রতা ও সৃজনশীলতায় তাঁদের কাজ হয়ে ওঠে শিল্পের নিদর্শন। এই কাজ থেকেই এখন বহু মহিলা উপার্জন করছেন ভাল পরিমাণ টাকা। সেই অর্থ তাঁরা ব্যবহার করেন নিজেদের হাতখরচ, সন্তানদের পড়াশোনা, এমনকি সংসারের বিভিন্ন প্রয়োজনে। গ্রামের বাসিন্দা সুতপা দাস সূত্রধর বলেন, “গ্রামের সবাই এই কাজ করে। আমাদের যে অর্থ উপার্জন হয় সেটা আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি। অবসর সময়ে আমরা টিভি সিরিয়াল না দেখে এই কাজই করি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অনেকেই বংশপরম্পরায় এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া হস্তশিল্পকে তাঁরা শুধু বাঁচিয়ে রাখেননি, বরং নতুনভাবে গড়ে তুলেছেন তার কদর। আজ অগ্রদ্বীপের শিল্প মানেই শুধু পুরুষদের কাজ নয়, মহিলারাও তাতে সমানভাবে জড়িত, দক্ষ ও স্বনির্ভর। তাঁদের হাতে গড়া শিল্প এখন শুধু পেশা নয়, গর্বের পরিচয়।