TRENDING:

Jhargram news : গ্রীষ্মের সময় বাড়িতে বাড়িতে আজও ভরসা বাংলার ঐতিহ্যের তালপাতার হাতপাখা !

Last Updated:

 সারা বছর অন্যান্য কাজ করলেও ফাল্গুন মাস থেকেই গ্রামে শুরু হয়ে যায় পাখা তৈরির ব্যস্ততা। ফাল্গুন মাস থেকে শুরু করে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত থাকে এই ব্যস্ততা। কারণ যত পরিমাণে হাতপাখা তৈরি হবে তত পরিমাণে লক্ষ্মী লাভ হবে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঝাড়গ্রাম : গরম পড়লেই ঝাড়গ্রামের হাত পাখার গ্রামে শুরু হয়ে যায় ব্যস্ততা। সকাল থেকে রাত গ্রামের সবাই হাতপাখা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সারা বছর অন্যান্য কাজ করলেও ফাল্গুন মাস থেকেই গ্রামে শুরু হয়ে যায় পাখা তৈরির ব্যস্ততা। ফাল্গুন মাস থেকে শুরু করে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত থাকে এই ব্যস্ততা। কারণ যত পরিমাণে হাতপাখা তৈরি হবে তত পরিমাণে লক্ষ্মী লাভ হবে।
advertisement

ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি ব্লকের দুবড়া গ্রাম হাতপাখার গ্রাম নামে পরিচিত। গরম পড়লেই এই গ্রামের চিত্র সম্পূর্ণরূপে পাল্টে যায়। ৮ থেকে ৮০ প্রত্যেকেই তালপাতার হাতপাখা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। দিনরাত্রি এক করে চলে হাতপাখা তৈরীর কাজ। নারী-পুরুষ প্রত্যেকেই এই হাতপাখা তৈরিতে মেতে ওঠে। গ্রামবাসীদের তৈরি হাতপাখা যে শুধু ঝাড়গ্রাম জেলায় বিক্রি হয় তা নয় বাইরে বাইরে ভিন রাজ্যেও দুবড়ার হাতপাখার কদর রয়েছে। দুবড়া গ্রামের বাসিন্দারা বংশপরম্পরায় এই হাত পাখা তৈরি করে চলেছে। এটা তাদের কাছে এক প্রকার কুটির শিল্প বললেই চলে।

advertisement

আরও পড়ুন : গ্রীষ্মের অপেক্ষায় বসে থাকেন এরা! যত গরম বাড়ে ততই মজা এদের

হাতপাখা তৈরির জন্য প্রথমে জঙ্গলে পাতা সংগ্রহ করা হয়, তারপর সেই পাতা সংগ্রহ করে এনে বাড়িতে ছাড়াই বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়, ছাড়াই বাছাই সম্পূর্ণ হলে পাতাগুলিকে রোদে শুকোতে দেওয়া হয়, শুকনো হয়ে গেলে জলে ভিজিয়ে নরম করে পাতার ডাটিটিকে সতর্কভাবে কাটা হয়। ডাটি কাটা হলে বাসের চিনা দিয়ে পাখার চারপাশ বাঁধা হয়। তারপরে সম্পূর্ণ হয় হাতপাখা তৈরির কাজ। এই পাখা তৈরি হয়ে গেলে পাইকারি ১২ টাকা দরে এবং খুচরো ১৫ টাকা করে বিক্রি করা হয়।

advertisement

“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

বর্তমানে ফ্যান এসির যুগেও বংশপরম্পরায় চলে আসা দুবড়া গ্রামে হাতপাখা তৈরির কাজে এখনো পর্যন্ত ভাটা পড়েনি। দীর্ঘদিন ধরেই তারা তাদের এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। হাত পাখা তৈরির কাজে এখনও পর্যন্ত কোনও রূপ ভাটা না পড়ায় গ্রামবাসীদেরও হাতপাখা তৈরির কাজে কোনও রূপ কৃপণতা দেখা যায়নি। মোটা টাকা রোজগারের আশায় বছরের অন্যান্য দিন গুলি অন্য পেশায় যুক্ত থাকলেও ফাগুন মাস থেকে জৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত হাত পাখা তৈরির কাজ কিন্তু ভোলেনি হাতপাখা তৈরির গ্রাম নামে পরিচিত দুবড়া গ্রামের বাসিন্দারা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শান্তিকেতনে রয়েছে কবিগুরুর ছাপাখানা, ঐতিহ্য-ইতিহাস
আরও দেখুন

বুদ্ধদেব বেরা

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Jhargram news : গ্রীষ্মের সময় বাড়িতে বাড়িতে আজও ভরসা বাংলার ঐতিহ্যের তালপাতার হাতপাখা !
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল