TRENDING:

East Bardhaman News: চারিদিকে নদী, একটিই রাস্তা, তাও এখন নেই! শুনিয়া গ্রাম পরিণত হচ্ছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে

Last Updated:

সুড্ডা বাইপাস ধরে মাঠের পাশ ঘেঁষে যেতে হয় এই প্রত্যন্ত গ্রামে। যদিও শুনিয়া গ্রামের নাম শুনলেই অনেকেই কুঁকড়ে যান ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বনোয়ারীলাল চৌধুরী, কাটোয়া: কাটোয়া শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শুনিয়া গ্রাম। সুড্ডা বাইপাস ধরে মাঠের পাশ ঘেঁষে যেতে হয় এই প্রত্যন্ত গ্রামে। যদিও শুনিয়া গ্রামের নাম শুনলেই অনেকেই কুঁকড়ে যান কারণ, গ্রামে পৌঁছতে গেলে পার  হতে হয় ভাঙাচোরা, বিপজ্জনক রাস্তা, আর বর্ষার সময় সেই দুর্ভোগের চিত্র আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে গ্রামের একমাত্র প্রবেশপথের উপরে থাকা কালভার্টটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ধসে পড়েছে রাস্তার একাংশ, তৈরি হয়েছে বিশাল গর্ত। ফলে বর্তমানে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।
advertisement

গ্রামের বাসিন্দা ঘোষাল হালদার বলেন, “এই জায়গাটা ভেঙে গিয়েছে। গ্রামের ভিতরের অবস্থা আরও খারাপ। একটা সাইকেলও ঠিকঠাক ভাবে যায়না। রাত বিরাতে কোনও কিছু হলে গ্রামে সেভাবে টোটো ঢুকতে পারেনা, রোগীকে কোলে করে টোটো করে নিয়ে যেতে হয়।”

জলবন্দি গ্রাম, চারদিক ঘিরে অজয় নদ, শুনিয়া গ্রাম কেতুগ্রাম বিধানসভা অন্তর্গত হলেও এটি কাটোয়া ১ ব্লকের কোশিগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। চারিদিকে অজয় নদে ঘেরা এই গ্রামে পৌঁছনোর একমাত্র পথ হচ্ছে একটি সরু রাস্তা, যার নিচে হিউম পাইপ বসিয়ে তৈরি করা হয়েছিল একটি কালভার্ট। মূলত মাঠের জল সেই পাইপ দিয়ে নদীতে গিয়ে মিশত। তবে লাগাতার বৃষ্টিতে সেই মাটির নিচের ভর টেনে নিয়েছে, ধসে পড়েছে কালভার্ট।

advertisement

গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত হাজরা বলেন, এই সাঁকো ভেঙে গেলে গ্রাম থেকে মানুষ বেরোতেই পারবে না। আমরা খুবই চিন্তায় আছি। শুধু প্রবেশপথই নয়, গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে যে পাকা ঢালাই রাস্তা রয়েছে, তাও ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অজয় নদে ভাঙনের ফলে। ফলে এখন অনেকেই পাশের প্রতিবেশীর বাড়ির ভেতর দিয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে একাধিকবার জানিয়েও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি।

advertisement

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শেষ সুবর্ণ সুযোগ! হাতছাড়া হলে কেঁদে কুল পাবেন না...
আরও দেখুন

২০২১-২২ অর্থবর্ষে কাটোয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দেড় কিমি পাকা রাস্তা ও ৬.২৩ লক্ষ টাকায় একটি স্নানঘাট তৈরি করা হলেও সেই রাস্তাও এখন অজয়ের ভাঙনে কার্যত অচল। গ্রামে গাড়ি পর্যন্ত ঢুকছে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভোট সবই দুর্ভোগের গল্প শুনিয়া গ্রামের ৮০টি পরিবারের জন্য নেই কোনও হাইস্কুল, নেই নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ভোট দিতেও যেতে হয় প্রায় চার কিমি দূরের গ্রামে। সবদিক থেকে যেন গ্রামটি ক্রমে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হচ্ছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: চারিদিকে নদী, একটিই রাস্তা, তাও এখন নেই! শুনিয়া গ্রাম পরিণত হচ্ছে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল