গ্রামের বাসিন্দা ঘোষাল হালদার বলেন, “এই জায়গাটা ভেঙে গিয়েছে। গ্রামের ভিতরের অবস্থা আরও খারাপ। একটা সাইকেলও ঠিকঠাক ভাবে যায়না। রাত বিরাতে কোনও কিছু হলে গ্রামে সেভাবে টোটো ঢুকতে পারেনা, রোগীকে কোলে করে টোটো করে নিয়ে যেতে হয়।”
জলবন্দি গ্রাম, চারদিক ঘিরে অজয় নদ, শুনিয়া গ্রাম কেতুগ্রাম বিধানসভা অন্তর্গত হলেও এটি কাটোয়া ১ ব্লকের কোশিগ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। চারিদিকে অজয় নদে ঘেরা এই গ্রামে পৌঁছনোর একমাত্র পথ হচ্ছে একটি সরু রাস্তা, যার নিচে হিউম পাইপ বসিয়ে তৈরি করা হয়েছিল একটি কালভার্ট। মূলত মাঠের জল সেই পাইপ দিয়ে নদীতে গিয়ে মিশত। তবে লাগাতার বৃষ্টিতে সেই মাটির নিচের ভর টেনে নিয়েছে, ধসে পড়েছে কালভার্ট।
advertisement
গ্রামের বাসিন্দা প্রশান্ত হাজরা বলেন, এই সাঁকো ভেঙে গেলে গ্রাম থেকে মানুষ বেরোতেই পারবে না। আমরা খুবই চিন্তায় আছি। শুধু প্রবেশপথই নয়, গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে যে পাকা ঢালাই রাস্তা রয়েছে, তাও ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অজয় নদে ভাঙনের ফলে। ফলে এখন অনেকেই পাশের প্রতিবেশীর বাড়ির ভেতর দিয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে একাধিকবার জানিয়েও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে কাটোয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দেড় কিমি পাকা রাস্তা ও ৬.২৩ লক্ষ টাকায় একটি স্নানঘাট তৈরি করা হলেও সেই রাস্তাও এখন অজয়ের ভাঙনে কার্যত অচল। গ্রামে গাড়ি পর্যন্ত ঢুকছে না। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভোট সবই দুর্ভোগের গল্প শুনিয়া গ্রামের ৮০টি পরিবারের জন্য নেই কোনও হাইস্কুল, নেই নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্র। ভোট দিতেও যেতে হয় প্রায় চার কিমি দূরের গ্রামে। সবদিক থেকে যেন গ্রামটি ক্রমে বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হচ্ছে।