দুর্গাপুর, অর্পণ চক্রবর্তী: দুর্গাপুর ‘গণধর্ষণকাণ্ডের নির্যাতিতা’র সহপাঠীকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হল বুধবার৷ সূত্রের খবর, এদিন আর কোনও প্রশ্ন করেনি আদালত৷ শুধুমাত্র পুলিশের তদন্তকারী অফিসার অভিযুক্ত ওয়াসেফ আলির ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়েছিল৷ বিচারক সাতদিন মঞ্জুর করেছে। পাশাপাশি, ধৃত পাঁচজনেরই ডিএনএ পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ৷
advertisement
সূত্রের দাবি, নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তাঁকে জোর করে নিয়ে যায় তাঁর বন্ধু৷ সেখানে জঙ্গলের মধ্যে তাঁর শীলতাহানি করে তারপর প্রথমে বিষয়টি অন্য তিনজন দেখে ফেলে৷ তারপর আরও দু’জন গিয়ে বিষয়টি দেখে ফেলে মেয়েটির মোবাইল ফোন কেড়ে নাই। তারপরে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়।
অভিযোগ, মেয়েটির ফোন কেড়ে নিয়ে শেখ রিয়াজউদ্দিন একাধিকবার মেয়েটির ফোন থেকে অভিযুক্তকে ফোন করেছিল, কিন্তু ছেলেটি ফোন ধরেনি। অবশেষে একাধিকবার ফোন করার পর ছেলেটি ফোন ধরতে বাধ্য হয়।
শুক্রবার রাতে এই সহপাঠী-বন্ধুর সঙ্গেই ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রী। সেই ঘটনার পরেই শনিবারই তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর রবিবার রাতে এবং সোমবার সকালে বাকি দু’জনকেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এই পাঁচ জনেরই ডিএনএ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। এখন রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।