এই বছর কয়েক হাজার গনেশের মুর্তি তৈরির বায়না মিলেছে দুর্গাপুরের কুমারটুলির মৃৎশিল্পীদের। তাই বিশ্বকর্মা ও দুর্গাপুজোর আগে গনেশ গড়তে চরম ব্যস্ত কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা। অতীতে শিল্পশহরে কেবল দাপট ছিল কর্মের দেবতা বিশ্বকর্মার। তবে হঠাৎই মহারাষ্ট্রের মত গনেশ পুজোর রমরমা শুরু হয়েছে দুর্গাপুরে। মৃৎশিল্পীদের মতে সিদ্ধিদাতার পুজোর প্রচলন বছর বছর বেড়েই চলেছে। বিগত কয়েক বছরে পারিবারিক থেকে বারোয়ারি গণেশ পুজোর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে শিল্পাঞ্চলে।
advertisement
আরও পড়ুন : হাজারদুয়ারী নয়, দলে দলে পর্যটকরা ভিড় করছেন পদ্মার বুকে! মাত্র ৫০ টাকায় যা চলছে ওখানে…
এই বছর কয়েক হাজার গনেশের মূর্তি তৈরির বায়না মিলেছে দুর্গাপুর কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের। তাই বিশ্বকর্মা ও দুর্গাপুরজোর আগে গনেশ গড়তে চরম ব্যস্ত দুর্গাপুরের কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীরা। উল্লেখ্য, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণে বর্তমানে গনেশ পুজো অন্যতম আকার নিয়েছে। আগে শুধুমাত্র অবাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে গণেশ পুজো হত, কিন্তু এখন রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এই গণপতির আরাধনা জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে শিল্পাঞ্চলে কর্মদেবতা বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে গনেশ পুজো, দাবি মৃৎশিল্পীদের।
আরও পড়ুন : ফেরার পথে সর্বনাশ! সাগরের পর এবার রায়দিঘি, ট্রলার থেকে পড়ে নিখোঁজ মৎস্যজীবী
দুর্গাপুরের ট্যাঙ্করোড়, দুর্গাপুর স্টেশনবাজার, এমএএমসি টাউনশিপ, বেনাচিতি বাজার সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বহু মৃৎশিল্পী রয়েছেন। শিল্পাঞ্চলের সুখ্যাত মৃৎশিল্পী অরুণ পাল সহ অভিজিৎ পাল জানান, আজ থেকে প্রায় ৭ বছর আগে একটি দু’টি গনেশ ঠাকুর বানানোর বায়না পেতেন শিল্পীরা। তাও অধিকাংশই ছিল পারিবারিক পুজো। দুর্গাপুরে বিগ বাজেটের একাধিক দুর্গাপুজো ও ছোটো বড় প্রচুর বিশ্বকর্মা পুজো হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিল্পীরা মূলত বিশ্বকর্মা ও দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতেই এই সময়টায় ব্যস্ত থাকতেন। কিন্তু হঠাৎ করে শিল্পাঞ্চলে সিদ্ধিদাতা গনেশের আরাধনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিবছর পুজোর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।প্রতিটি শিল্পী প্রতিবছর যদি ১০০ টি বিশ্বকর্মা মুর্তি বানাচ্ছেন তো গড়ে ৮০ টি গনেশের মূর্তিও বানাচ্ছেন। ছোট-বড় গনেশ মূর্তি ৩০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা মূল্যে বায়না মিলেছে। ১২ ইঞ্চি থেকে ১২ ফুট উচ্চতার গনেশ তৈরি হচ্ছে। আগামীদিনে কর্মের দেবতাকে ছাপিয়ে যাবে সিদ্ধিদাতা গনেশ বলে মনে করছেন মৃৎশিল্পীগণ।